তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র এক মাস বাকি। ২৭ জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন জয়লতিতা ঘনিষ্ট ভি কে শশীকলা। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর পরই তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়ে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
ইস্তফাপত্রে শশীকলা লিখেছেন, 'আমি কোনদিনই ক্ষমতা ও পদের পিছনে দৌঁড়ায়নি। আম্মা (জয়ললিতা) যখন ছিলেন তখনও যে কাজ করিনি তা আজও করব না। আমি রাজনীতি ছাড়ছি। আমি প্রার্থনা করব যেন জয়ললিতার পার্টিই জেতে। ওঁর লেগ্যাসি যেন আরও এগিয়ে যায়।' জয়া টিভিতে এই ইস্তফাপত্রের দুটি পৃষ্টা প্রকাশিত হয় প্রথমে। শশীকলার রাজনৈতিক জীবনে যারা অনুরাগী ছিলেন তাঁদেরকেও এদিন ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জয়ললিতার মৃত্যুর পর AIDMK-এর ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন শশীকলা। কিন্তু দলের অন্দরে তাঁর অতিসক্রিয়তা ভালো চোখে দেখেননি অনেক প্রবীণ নেতাই। পরবর্তীকালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। মনে করা হয়েছিল জেল থেকে বেরিয়ে আবারও ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবেন। যদিও ৩ মার্চ লেখা চিঠিতে শশীকলা বলেছেন, তিনি কখনওই ক্ষমতার জন্য লালায়িত ছিলেন না। এমনকি জয়ললিতা যখন জীবিত ছিলেন, তখনও না।
শশীকলার বক্তব্যের কয়েক মিনিট পরে ধীনকরন সংমাধ্যমকর্মীদের বলেন, নেত্রীর সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি তার সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, “আমি শশীকলাজির সঙ্গে কথা বলার, তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। আমি তাঁকে বলেছিলাম এটি এখন অপ্রয়োজনীয়। রাজনীতিতে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আমি তাঁর বক্তব্য পেশের সময় প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেছি। তবে আমি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দিতে পারি না, তাই না?"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন