ক্রিমিয়া বিস্ফোরণ এবং যুদ্ধবিমান ধ্বংস নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন চাপানউতোরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে উপগ্রহ মারফত তোলা ছবি। রাশিয়ান দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে উপকূলরেখা থেকে ধোঁয়া উঠছে। আর, তার পরই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র থেকে পর্যটকদের পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
প্যানেট ল্যাবস পিবিসির উপগ্রহের একটি চিত্রে দেখা গিয়েছে, ১০ আগস্ট ক্রিমিয়ার উপদ্বীপে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওই বিস্ফোরণের পর সাকি বায়ুঘাঁটির ছবি পরিষ্কার দেখা গিয়েছে। কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ওই বায়ুঘাঁটি। ইউক্রেনের থেকে রাশিয়া ওই বায়ুঘাঁটি ছিনিয়ে নিয়েছে ২০১৪ সালের মার্চে। আর, ওই বায়ুঘাঁটি নিজেদের এলাকাভুক্ত করেছে।
রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত সেই ক্রিমিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের পর, রাশিয়া এবং ইউক্রেন বিস্ফোরণের দায় ও প্রভাব নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেছিল। ওই বিস্ফোরণের ফলে একজন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী, মঙ্গলবারের হামলার দায় সরাসরি স্বীকার না-করে বলেছে, অন্তত নয়টি রুশ বিমান বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়েছে। তবে, সেই দাবি রাশিয়া অস্বীকার করেছে জানিয়েছে যে হামলা হয়েছে, তার চেয়ে ওই বিমানঘাঁটিতে বিমান বিস্ফোরণে ক্ষতি হয়েছে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন- অর্থনীতি অর্থ হারাচ্ছে, বিনামূল্যে বিতরণ গুরুতর সমস্যা, মানল সুপ্রিম কোর্ট
ছবিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ধরা পড়েছে। নাতালিয়া লিপোভায়া নামে এক পর্যটক এই বিস্ফোরণের ঘটনার সময় ওই উপদ্বীপে ছিলেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'এত জোরে বিস্ফোরণ হয়েছে যেন মনে হল আমার পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম।' সের্গেই মিলোচিনস্কি নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, 'আমি আচমকা একটা গর্জন শুনতে পাই। তারপর দেখি যে বাড়ির জানালার পাশে যেন ব্যাঙের ছাতার মত একটা মেঘ ঝুলছে। আচমকা চারপাশটা যেন ভেঙে নীচে পড়ে গেল।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে পর্যটকরা দেখিয়েছেন, কীভাবে তাঁদের অস্থায়ী আবাসের দিকে যাওয়ার সময় রাশিয়ার রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন। আর, সেই লাইন যেন কিছুতেই এগোচ্ছে না।
Read full story in English