সঙ্ঘ পরিবার দেশে এখন হিন্দুত্বের জনক বলতে একজনকেই প্রায় দেবতার আসনে বসিয়েছে। তিনি হলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর। কিন্তু অনেকেই খুব সম্ভবত অবগত নয়, সাভারকরের বেশ কিছু বিশ্বাস কিন্তু উদারনীতিবাদের খুব কাছাকাছি। সম্প্রতি বৈভব পুরন্দারে তাঁর এক বইয়ে এই আশ্চর্য বিষয়টি তুলে ধরেছেন। উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করা যায়, সাভারকর গোরুকে পুজো করার সম্পূর্ণ বিরোধী ছিলেন। খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রেও মানুষের পছন্দ এবং সাধ্যের ওপরেই জোর দিতেন তিনি। ধর্মীয় বিশ্বাস সেখানে জায়গা পেত না তেমন।
বাম চিন্তাবিদ এমএন রায়ের সঙ্গে ঘন ঘন আলাপচারিতায় থাকতেন সাভারকর। ১৯৫০ এর দুরভিক্ষের সময় তিনি বলেছিলেন নিরামিষাশীদের উচিত মাছ, মাংস, ডিম ভক্ষণ করা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান গোলওয়ালকরের সঙ্গে তাঁর মোটেও তেমন সখ্যতা ছিল না।
রাসবিহারী বোস: ইতিহাসে উপেক্ষিত বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া এনডিএ সরকারের লক্ষ্য ছিলই। কিন্তু এই বাজেট অধিবেশনেই যে তা হবে, সে ব্যাপারে জোর দিয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহই। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে অনেকেই উপদেশ দিয়েছিলেন আপাতত শুধু ৩৫ এ ধারা বাতিল করেই কাজ চালানো যেতে পারে। নানা দিক চিন্তা করেই অমিত শাহ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ওই একই সময়ে আফগানিস্থান মার্কিন সেনা তুলে নিল ডোনাল্ড ট্রামপ প্রশাসন। আন্তর্জাতিক মহলে এখন পাকিস্তান এবং ইমরান খানের জায়গাটাও বেশ দুর্বল। অমিত শাহ জানতেন রাজ্যসভায় তাঁর প্রস্তাবিত বিল সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবেই।
সম্প্রতি বিজেপির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সোনিয়া গান্ধীই। কিন্তু তাঁদের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচন নিয়েও কম জল ঘোলা হয়নি। সচীন পাইলট এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্দিয়ার নাম মৌখিক ভাবে প্রস্তাবিত করেছেন দলের অনেকেই। কিন্তু কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে সবাই সোনিয়া গান্ধীর নামই প্রস্তাবিত করেছে।
Read the full story in English