বিলকিস বানো মামলায় আবেদনের শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালত।
বিলকিস বানো মামলায় মুক্তি পাওয়া আসামিদের অসুবিধা আরও বাড়তে পারে। সুপ্রিম কোর্ট দোষীদের ‘অকাল মুক্তির’ বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে রাজি হয়েছে। ২০০২ সালে বিলকিস বানোর গণধর্ষণ মামলায় ১১ আসামিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুক্তি দেওয়া হয়। দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। গুজরাট সরকার এই মামলায় ১১ আসামিকে ক্ষমা প্রদর্শন করে গত বছরের ১৫ আগস্ট তাদের মুক্তি দেয়। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে কেউ কেউ ১৫ বছর এবং কেউ ১৮ বছর কারাভোগ করেছেন।
বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের মুক্তি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে মামলা শীর্ষ আদালতে দায়ের করা হয়েছে সেই মামলায় একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট। বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তির বিষয়ে শুনানির জন্য একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিলকিস বানো মামলায় গুজরাট সরকার ১১ অভিযুক্তকে সময়ের আগেই মুক্তি দিয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয় এবং বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়। এই বিষয়ে গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিলকিস। এর আগে, শীর্ষ আদালত বলেছিল যে গুজরাট সরকার মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
২০২২ গুজরাট দাঙ্গায় বিলকিস বানো গণধর্ষণ এবং পরিবারের সদস্যদের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনের মুক্তির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের নভেম্বরে বিলকিস বানো সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন। বিলকিস বানোর দায়ের করা দুটি পিটিশনের মধ্যে প্রথম পিটিশনে ১১ আসামির মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। যেখানে দ্বিতীয় আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের মে মাসের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়। পিটিশনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে গুজরাট সরকার দোষীদের মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এই আদেশের বিরুদ্ধে, বিলকিস যুক্তি দিয়েছিলেন যে মহারাষ্ট্রে মামলাটি বিচারের জন্য উপযুক্ত ছিল।
বিলকিসের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির দাবি জানানো হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন যে উভয় পিটিশন একসঙ্গে বা শুধুমাত্র একটি বেঞ্চের সামনে শুনানি করা যায় কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখবেন। বিলকিস বানো ২০০২ সালের দাঙ্গার সময় গণধর্ষণের শিকার হন। এর সঙ্গে তার তিন বছরের মেয়েসহ পরিবারের নয় সদস্যকেও হত্যা করা হয়।