হরিদ্বারের 'ধর্ম সংসদ' চলাকালীন ধর্মীয় এই সমাবেশে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা গ্রহণে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এফআইআর সত্ত্বেও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? সিনিয়ার আইনজীবী কপিল সিবাল এই প্রশ্ন তুলে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার কাছে একটি নোট জমা দেন। তারপরই এই প্রসঙ্গে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করল দেশের শীর্ষ আদালত।
আইনজীবী সিবাল বলেন, '১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারের ধর্মীয় সংসদে যা ঘটেছিল তার বিরুদ্ধেই আমি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছি।'
হরিদ্বারে গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি ধর্ম সংসদ আয়োজিত হয়। সেখানে এক বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধাচারণ করে একাধিক বক্তব্যের ভিডিও ক্রমেই ভাইরাল হতে থাকে। এরপর বিষয়টি নিয়ে কার্যত তোলপাড় শুরু হয় উত্তরাখণ্ড জুড়ে। ঘটনার জেরে, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগে প্রথমে জিতেন্দ্র ত্যাগী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। যিনি ধর্ম পরিবর্তনের আগে ওয়াসিম রিজভি নামে পরিচিত ছিলেন। ইনি উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রাক্তন প্রধান। এদিকে, পরবর্তীকালে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আরও দুজনের নাম এফআইআরে জোড়ে। বাকি দুই অভিযুক্ত সন্ন্যাসী বলে জানা গিয়েছে।
হরিদ্বারের ধর্মসংসদ ইস্যুতে রীতিমতো সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এদিকে, গোটা ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে দেশ জুড়ে। এভাবে প্রকাশ্য ধর্মীয় সমাবেশে ঘৃণার বার্তা ছড়ানোর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের এই ৭৬ জন আইনজীবী স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদক্ষেপ করার আর্জি জানান।
Read in English