মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে এখনই নয় বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা, জানাল সুপ্রিম কোর্ট। মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ মসজিদ বিতর্ক নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এই মসজিদে সমীক্ষার জন্য কমিশনার নিয়োগের এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে বড় ধাক্কা খেল হিন্দুপক্ষ।
মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষা চালানো হবে। সেই সমীক্ষা পরিদর্শনের জন্য একজন স্থানীয় একজন কমিশনর নিয়োগের পক্ষে রায় দেয় এলাহাবাদ হাইকর্ট। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিনই মথুরার মামলাটি নিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিন মামলার শুনানি করার সময়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এলাহাবাদ হাইকোর্টের মামলা সংক্রান্ত সমস্ত মামলা শুনানির জন্য নিজের কাছে হস্তান্তর করার আদেশের উপর প্রশ্ন তোলেন। আদালত বলেন, বিষয়টি যখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তখন হাইকোর্ট কীভাবে মামলাটি নিজের কাছে স্থানান্তর করল। কমিশনার নিয়োগের বিরুদ্ধে মুসলিম পক্ষের করা আবেদনে হিন্দু পক্ষকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি এখন ২৩ জানুয়ারি হবে।
১৪ ডিসেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট শাহি ইদগাহ মসজিদের সমীক্ষার জন্য কমিশনার নিয়োগে সম্মত হয়েছিল। এই ক্ষেত্রে, আবেদনকারীরা দাবি করেছিলেন যে ওই মসজিদে হিন্দু প্রতীক ছিল, যেটি প্রমাণ করে যে এটি এক সময় হিন্দু মন্দির ছিল। শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ঈদগাহ মসজিদ বিবাদে মসজিদ সমীক্ষার জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের কমিশনার নিয়োগের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ। সেই আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট।
রাম মন্দির: < Ayodhya Ram Mandir: শুরু হয়ে গেল সাত দিনের বিশেষ আচার অনুষ্ঠান, প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে এযেন এক ‘রঙিন অযোধ্যা’>
হিন্দু ও মুসলিম পক্ষের দাবি কি?
হিন্দু পক্ষ দাবি করে যে ১৬৭০ সালে আওরঙ্গজেব মন্দিরটি ধ্বংস করেছিলেন। অবৈধ দখল করে গড়ে উঠেছে ইদগাহ মসজিদ। হিন্দু নিদর্শন, মন্দিরের স্তম্ভ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয় এবং হিন্দুদের পূজা থেকে বিরত রাখা হয়। একই সঙ্গে মুসলিম পক্ষের দাবি, মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণের কোনো প্রমাণ ইতিহাসে নেই। তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে।