কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং ইউপিএ চেয়ার পার্সন সোনিয়া গান্ধীর ২০১১-১২ অর্থবর্ষের আয়কর ফাইল খুলে, পুনরায় তদন্তের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত মামলার সূত্রেই এদিনের এই অনুমতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বছর ৮ জানুয়ারি।
এর আগে দিল্লি হাইকোর্টও মা-ছেলের আয়কর ফাইল তদন্তের অনুমতি দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সপুত্র সোনিয়া। শীর্ষ আদালত বলেছিল, রাহুল ও সোনিয়ার আবেদন শোনার পরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেবে তারা। সেই অনুযায়ী এদিন আয়কর দফতরকে পুনর্তদন্তের অনুমতি দেওয়া হল।
এদিন আয়কর দফতরের হয়ে সওয়াল করেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আবেদন করেন যাতে আদালত আয়কর দফতরকে এ বিষয়ে তদন্ত থেকে বিরত না রাখে। বরং তিনি বলেন, সব পক্ষের কথা শুনে আদালতের যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত।
বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দায়ের করা আবেদনের সূত্রেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার সঙ্গে এই বিষয়টি জুড়ে গিয়েছে। স্বামীর অভিযোগ, ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিঃ (ওয়াইআইএল) নামের একটি কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি সংবাদপত্রের (পড়ুন, ন্যাশনাল হেরাল্ড) ২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি গ্রাস করে। আর এই ওয়াইআইএল-এর অন্যতম ডিরেক্টর সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধী বলেই দাবি জনতা দল থেকে বিজেপিতে আসা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর। তবে শুধু গান্ধী পরিবারের মা-ছেলেই নয়, এ বিষয়ে কংগ্রেস নেতা মোতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্ডেজ, সাংবাদিক সুমন দুবে এবং প্রযুক্তিবিদ শ্যামপিত্রোদা-ও জড়িত বলে অভিযোগ স্বামীর।
Read the full story in English