প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার গাফিলতির ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার জানানো হল যে, ওই তদন্ত কমিটির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। আগেই জানানো হয়েছিল, কমিটির বাকি তিন সদস্য হিসেবে থাকছেন চণ্ডীগড় পুলিশের মহানির্দেশক, এনআইএ-র আইজি এবং হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল।
গত ৫ জানুয়ারি পঞ্জাবের ফিরোজপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে মাঝ রাস্তায় আটকে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। প্রায় মিনিট ২০ একটি ফ্লাইওভারে দাঁড়িয়ে ছিল মোদীর কনভয়। শেষ পর্যন্ত সভাস্থলে না গিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে যায় মোদীর কনভয়। সেখান থেকে দিল্লি ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী। ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় খামতি প্রকট হয়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। কংগ্রেস পরিচালিত পাঢ্জাব সরপকার 'ষড়যন্ত্র' করেছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। যা স্বাবভাকভাবেই নস্যাৎ করেছে পাঞ্জাবের চতরণজিৎ সিং চান্নি সরকার। তারই মধ্যে কেন্দ্র পাঞ্জাবে মোদীর কনভয়ে নিরাপত্তায় ঘাটতি ইস্যুতে তদন্ত শুরু করে। কড়া পদক্ষেপ হিসাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ভাতিণ্ডার সিনিয়র পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনার পরই প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তার খামতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ওই মামলাতেই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও পাঞ্জাব সরকারকে তদন্ত স্থগিতের নির্দেশ দেয়। কেন্দ্র আগেই পদক্ষেপ করায় প্রশ্ন তোলে তদন্তের পরিধি নিয়েও। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ঘাটতি ইস্যুতে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে চার সদস্যেক কমিটি গড়ে দেয়। জানানো হয়েছিল সেই কমিটির প্রধান হবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। সেই মতোই বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে ওই কমিটির প্রধান হবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা খামতির জন্য কে বা কারা দায়ী? এবং প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য সাংবিধানিক পদাধিকারীদের নিরাপত্তায় কী ধরণের সুরক্ষা প্রয়োজন তারও পরামর্শ দেবেন কমিটির সদস্যরা।
একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রাকে এই মামলার সব নথি হস্তান্তর করবে। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
Read in English