দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের জেরে এবার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্থায়ী সমাধান খুঁজতে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সাধারণ মানুষ এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়ে সেই সমাধান খুঁজতে বলা হয়েছে।
এদিন প্রধান বিচারপতি এন বি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, যে প্রস্তাব আসবে সেগুলি যেন কমিশনের বিশেষজ্ঞ কমিটি আলোচনা করে দেখে। এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং সুর্যকান্ত। তাঁরা দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অংশ নেন। এর আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কমিশনের আরোপিত বিধিনিষেধ নিয়ে কমিশনের কাছেই আবেদন করার জন্য বলেছিল।
এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান, যাঁরা আবেদন করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হয়েছে। জীবনদায়ী সামগ্রী উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে, ডেয়ারি এবং মেডিক্যাল সামগ্রী উৎপাদনকারী সংস্থাদেরও ডিজেল জেনসেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তুষার মেহতা বলেছেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে ৮ ঘণ্টা কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের কাজের ধরন এমনই যে বেশ কয়েকটি সংস্থাকে সারাক্ষণ কাজ চালিয়ে যেতে হয়। তাই আপাতত সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে। তবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখা নিয়ে তিনি বলেছেন, বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা হওয়ার ঠিক হয়েছে বেশি দিন সেগুলি বন্ধ রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন ‘অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছি ও তাদের হারিয়েছি’, বিজয় দিবসে টুইট প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে কমিশনের কাছে বার বার বিভিন্ন সংস্থা থেকে আবেদন আসার ফলে বাধ্য হয়ে তারা কিছু শিল্পোদ্যোগকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। দুধ এবং ডেয়ারি শিল্পগুলিকে সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওষুধপত্র, জীবনদায়ী সামগ্রী উৎপাদনকারী সংস্থাকে পূর্ণ সময়ের কাজের অনুমতি, পেপার সংস্থাকে সপ্তাহে পাঁচ দিন, ধান, চালকল এবং বস্ত্রশিল্পকেও সপ্তাহে পাঁচদিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন