নতুন নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগে গোলমাল? খতিয়ে দেখতে নথি তলব সুপ্রিম কোর্টের

স্বেচ্ছাবসর নিতে গেলে তিন মাস আগে আবেদন করতে হয় কর্মীকে। গোয়েল করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখার আবেদন জানান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

স্বেচ্ছাবসর নিতে গেলে তিন মাস আগে আবেদন করতে হয় কর্মীকে। গোয়েল করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখার আবেদন জানান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Arun_Goel

নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল

সদ্য দেশের নতুন নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন অরুণ গোয়েল। তিনি পাঞ্জাব ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার। নতুন নির্বাচন কমিশনার পদে তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল দেখতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার কেন্দ্রের কাছে সেই নিয়োগের ফাইল চেয়েছে আদালত। কারণ, আদালত দেখতে চায় যে এই নিয়োগ 'ঠিকঠাক' হয়েছে কি না।

Advertisment

বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের স্বাধীন প্রক্রিয়া চেয়ে দায়ের হওয়া আবেদনের শুনানি করছে। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে যে শুনানি চলাকালীন এই নিয়োগ করা না-হলে, সেটাই উপযুক্ত হত। আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বৃহস্পতিবার গোয়েলের নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল আনতে বলেছে। কেন এই ফাইল তাঁরা আনতে বলছেন, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছে বেঞ্চ।

এপ্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, 'আমরা এই মামলার শুনানি শুরু করার পরে এই নিয়োগ করা হয়েছে।' এই নিয়োগ নিয়ে ধন্দ প্রকাশ করে আবেদনকারীর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেছেন যে গোয়েলকে গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) স্বেচ্ছা অবসর (ভিআরএস) দেওয়া হয়েছে। আর, ২১ নভেম্বরই তাঁর নিয়োগের আদেশ জারি করা হয়েছে।

প্রশান্ত ভূষণের অভিযোগ, অরুণ গোয়েলকে নিয়োগ করতেই তাঁকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে এতদিন যাঁরা নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁরা সকলেই অবসরপ্রাপ্ত। কিন্তু, গোয়েল সরকারের বর্তমান সচিব ছিলেন। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন এমনটাই বলা হয় আদালতে।

Advertisment

আরও পড়ুন- ভারতীয় নির্বাচনের চেহারাই বদলে দিয়েছিলেন, কে এই টিএন শেষন?

এই প্রসঙ্গে ভূষণ বলেন, 'শুক্রবার তাঁকে স্বেচ্ছায় অবসর দেওয়া হয়। রবিবার নিয়োগের আদেশ জারি করা হয়। সোমবার তিনি কাজ শুরু করেন।' ভূষণ আরও জানান যে, 'এই পদটি মে মাস থেকে শূন্য ছিল। আর, তিনি নিয়োগের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী আদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন।'

আদালতে বিচারপতি জোসেফ মনে করিয়ে দেন যে ভিআরএস নিতে গেলে, একজন কর্মীকে তিন মাস আগে নোটিস দিতে হয়। তার প্রেক্ষিতে প্রশান্ত ভূষণ জানান যে গোয়েল কোনও নোটিশ দিয়েছিলেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'এই জন্যই আদালতের আরও বেশি করে তাঁর নিয়োগের নথি খতিয়ে দেখা উচিত।'

Read full story in English

Election Commissioner Arun Goel Supreme Court of India Election Commission of India