কন্যারা বোঝা নয়। এক মহিলাকে তার বাবার ভরণপোষণের খরচ দেওয়া প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চে এক ব্যক্তির আইনজীবী বলেছিলেন, যে ওই মহিলা তার বাবার কাছে বোঝা হয়ে উঠেছেন। তার প্রেক্ষিতে সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারার প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এই ধারায় আইনের চোখে সমতার কথা বলা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, 'কন্যারা বোঝা নয়।'
গত ২০২০-র অক্টোবরে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ২০১৮ সালের এপ্রিলের পর থেকে ওই ব্যক্তি তাঁর কন্যার ভরণপোষণের জন্য একটাকাও দেননি। তাঁর স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্যও টাকা দেননি। অথচ, কন্যার জন্য ওই ব্যক্তিকে প্রতিমাসে ৮,০০০ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। আর, স্ত্রীকে প্রতিমাসে ৪০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। এরপরই ওই ব্যক্তিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্ত্রী ও মেয়েকে ২,৫০,০০০ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এরপর, চলতি বছরের মে মাসে যখন মামলাটি শুনানির জন্য আসে, তখন আদালতকে জানানো হয়, ওই ব্যক্তির স্ত্রী গত বছর মারা গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- নাসার নতুন ছবি, ধরা পড়ল লেক মিডের জলস্তর হ্রাসের প্রমাণ
ওই ব্যক্তির আইনজীবী আদালতকে জানান, তিনি যথাযথভাবে ভরণপোষণের বকেয়া পরিশোধ করেছেন এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টেও তার উল্লেখ আছে। সেই সময় মে মাসের নির্দেশে আদালত বিচার বিভাগীয় রেজিস্ট্রারকে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে, ভরণপোষণের অর্থ ঠিকমতো মিলছে কি না, তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল। শুক্রবার ফের যখন মামলাটি আদালতে ওঠে, সেই সময় ওই ব্যক্তির আইনজীবী জানান, মেয়ে ইতিমধ্যেই আইনজীবী হয়েছে। সে বিচার বিভাগের পরিষেবা পরীক্ষায় প্রিলিমিনারিও পাশ করেছে।
তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ওই মহিলার নিজের পরীক্ষায় মনোনিবেশ করা উচিত। যাতে তাকে তার বাবার ওপর নির্ভরশীল হতে না-হয়। আদালতকে জানানো হয় যে ওই মহিলা ও তাঁর বাবা দীর্ঘদিন পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন না। একথা জানার পর, আদালত তাঁদের কথা বলার পরামর্শ দিয়েছে। একইসঙ্গে ৮ আগস্টের মধ্যে মেয়েকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্যও ওই ব্যক্তিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Read full story in English