গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ রায় দেয় কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সব বয়সের মহিলারা। ঐতিহাসিক এই রায় নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল রায়ের পর থেকেই। সোমবার শবরীমালা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মঙ্গলবার সেই রায় পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত বিশেষ শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সহ আরও দুই বিচারপতি নিয়ে গঠিত বেঞ্চ জানিয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে। আয়াপ্পাদের আবেদন নিয়ে খোলাখুলি কোনো শুনানি হবে না।
আয়াপ্পা ডিভোটিজ অ্যাসোসিয়েশন-এর পাশাপাশি নাইয়ার সোসাইটি এবং দিল্লির চেতনা কনসাইন্স অব ওয়মেন-এর পক্ষ থেকেও রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তাদের মতে শীর্ষ আদালতের রায় 'অসমর্থনযোগ্য এবং বিরক্তিকর'।
আরও পড়ুন, শবরীমালা মন্দিরে সমস্ত মহিলাদের অবাধ প্রবেশাধিকার- সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ- এই রায় মহিলাদের জন্য আদতে অসম্মানজনক। শারীরবৃত্তীয় কারণ নয়, শবরীমালার দেবতার কৌমার্যে আঘাত করছে এই রায়।
শবরীমালা রায় নিয়ে কেরালায় আয়াপ্পা ভক্তদের মধ্যে তৈরি হওয়া বিক্ষোভ সামাল দিতে কেরালার শাসক দল সিপিআইএম এবং বিরোধী কংগ্রেস দুপক্ষই চাইছে খোলাখুলি আলাপ আলোচনা হোক।
আয়াপ্পা ভক্তদের একাংশ ইতিমধ্যে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিবাদে রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের টিডিবি সদর দফতরের সামনে ধর্নায় বসেছিল। শবরীমালা মন্দিরের পরিচালন কর্তৃপক্ষ হল টিডিবি।
শতাধিক বছর ধরে চলে আসা এই প্রথার সমাপ্তি ঘটিয়ে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে ১৯৬৫ সালের যে আইন বলে এই প্রথা চালু ছিল তা হিন্দু নারীর ধর্মাচরণের অধিকারে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী। একই সঙ্গে বেঞ্চ বলেছে ধর্মের পিতৃতন্ত্রকে প্রার্থনার অধিকারে বাধা সৃষ্টি করতে দেওয়া যায় না।