গত ৫ জানুয়ারি পাঞ্জাবে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভাতিন্ডা থেকে সড়ক পথে ফিরোজপুর যাওয়ার পথে বিক্ষোভে ফ্লাইওভারে আটকে থাকে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। যা নিয়েই শোরগোল পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সর খামতি প্রকট হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছে গেরুয়া বাহিনী। চান্নি সরকার অভইযোগ ওড়ালেও মোদীর ‘নিরাপত্তায় গলদ’ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। তার শুনানিতে এ দিন সর্বোচ্চ আদালত প্রধানমন্ত্রীর পাঞ্জাব সফরের গতিবিধি সংক্রান্ত সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পুলিশ প্রশাসন, এসপিজি এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্থাগুলি সহ পাঞ্জাবের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে।
বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং হিমা কোহলির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের নির্দেশ যে, কেন্দ্রশাসিত চণ্ডীগড়ের ডিজি এবং এনআইএ-র এক আধিকারিক রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রেকর্ড সংগ্রহে সহায়তা করবে। এবং রেজিস্ট্রার জেনারেলকে প্রধানমন্ত্রীর সফর সংক্রান্ত সমস্ত রেকর্ড নিরাপদে রাখতে বলা হয়েছে।
শীর্ষ আদালত কেন্দ্র ও রাজ্যকে ১০ জানুয়ারি এই বিষয়ে পুনরায় শুনানি না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটিগুলির তদন্তের জন্য গঠিত বিভিন্ন কমিটিগুকে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফলতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির নেতৃত্বে আছেন ক্যাবিনেট সচিব (সুরক্ষা) সুধীর কুমার সাক্সেনা। কমিটিতে আরও আছেন কমিটিতে আছেন ইন্টেলিজেন্সে ব্যুরো (আইবি) যুগ্ম অধিকর্তা বলবীর সিং এবং স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) আইজি এস সুরেশ। দ্রুত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এদিকে ঘটনায় ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পঞ্জাব সরকারও।
Read in English