বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে আগামী ৯ নভেম্বর ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই শপথ নেওয়া থেকে বিরত রাখার আবেদন বুধবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আবেদনটি জমা পড়েছিল।
সেই আবেদনকে 'সম্পূর্ণ ভুল ধারণা'র দ্বারা চালিত বলেই জানিয়েছে আদালত। এই ব্যাপারে আদালত বলেছে, 'আমরা এই আবেদন গ্রহণের কোনও কারণ দেখি না। গোটা আবেদনটাই একটা ভুল ধারণা। তাই খারিজ করা হয়েছে।' এরপর বার ও বেঞ্চ আদালতের নির্দেশটিকে উদ্ধৃত করেছে।
প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতই বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তার পরও ব্যতিক্রমী ভাবে মামলার শুনানির জন্য বিচারপতি ললিতেরই দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী। আবেদনকারীর আইনজীবী অভিযোগ করেন, বম্বে হাইকোর্টে চন্দ্রচূড়ের ছেলে আইনজীবী ছিলেন, এমন একটি মামলা শুনেছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
আবেদনে রশিদ খান পাঠান নামে এক ব্যক্তির উল্লেখ করা হয়েছে। যিনি অভিযোগ করেছিলেন যে বিচারপতি চন্দ্রচূড় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগের পর, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এবং বম্বে বার অ্যাসোসিয়েশন (বিবিএ) বিচারপতিকেই সমর্থন করেন। একইসঙ্গে, আদালতকে আবেদনকারীর বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না-করার অনুরোধ জানায়।
আরও পড়ুন- রাজস্থান কংগ্রেসে চরম কোন্দল, গেহলটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে খাড়গের দ্বারস্থ পাইলট
বিচারপতি চন্দ্রচূড় ৯ নভেম্বর ভারতের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের স্থলাভিষিক্ত হবেন। বিচারপতি ললিত ৮ নভেম্বর অবসর নিতে চলেছেন। অভিজ্ঞতা অনুযায়ীই বিচারপতি ইউইউ ললিত বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নাম পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করেছেন।
ইতিমধ্যেই তা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুমোদন করেছেন। বিচারপতি চন্দ্রচূড় দুই বছর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন। ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর তিনি অবসর গ্রহণ করবেন। গত একদশকে এত দীর্ঘ সময় কেউ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকেননি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়দান করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়গুলো। যেখানে গোপনীয়তার মৌলিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
Read full story in English