সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পরিচালক হিসেবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে রাখার অনুমতি দিয়েছে। আগে কথা ছিল মিশ্র ৩১ জুলাই অবসর নেবেন। বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সঞ্জয় করোলের একটি বেঞ্চ জানিয়েছে যে আদালত 'জনসাধারণ এবং জাতীয়', এই বৃহত্তর স্বার্থে ইডিকর্তার দায়িত্বে থাকার সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মঞ্জুর করেছে। তবে, সেটা ওই ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই। সেই মধ্যরাত থেকে মিশ্র আর ইডি প্রধান থাকবেন না।
কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য চেয়েছিল যে মিশ্র অন্তত ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইডির প্রধান থাকুন। বর্তমান ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বুধবার সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদনও জানিয়েছিল যাতে মিশ্রকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইডি প্রধানের দায়িত্বে রাখা হয়। আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছিল, গত ২১ জুলাই ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের পর্যালোচনা রিপোর্ট এসেছে। তারপরই তারা আদালতের কাছে মিশ্রের মেয়াদ ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করছে। পালটা বিচারপতি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, বর্তমান প্রধান ছাড়া ইডির বাকি কর্মীরা কি অযোগ্য? বিভাগটি কি অযোগ্য লোকে পূর্ণ? এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
আদালতে কেন্দ্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁকেই বেঞ্চ প্রশ্ন করে, 'আমরা কি এমন ছবি দিচ্ছি না যে এই বিভাগে অন্য কেউ কাজ করার মত নেই এবং পুরো বিভাগটি অযোগ্য লোকে পূর্ণ?' এর আগে গত ১১ জুলাই, সুপ্রিম কোর্ট মিশ্রকে সরকারের দেওয়া দুটি মেয়াদের বর্ধিতকরণ 'আইনত বৈধ নয়' বলে জানিয়েছিল। একইসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে মিশ্র শুধুমাত্র ৩১ জুলাই পর্যন্ত ইডি কর্তার পদে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন- মোদী জমানায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত?
কেন্দ্র গত বছরের নভেম্বরে মিশ্রের মেয়াদ আরও একবছর বাড়িয়েছিল। সেটা করেছিল তাঁর অবসর নেওয়ার ঠিক একদিন আগে। এটি ছিল মিশ্রের মেয়াদের তৃতীয় বর্ধিতকরণ। সেই অনুযায়ী ইডি কর্তার, ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে থাকার কথা। ইডি প্রধান হিসাবে মোট প্রায় পাঁচ বছর কাটিয়ে ফেললেন মিশ্র। তাঁকে প্রথমে ইডি ডিরেক্টর হিসেবে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর দুই বছরের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক দিন আগে, ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর, রাষ্ট্রপতি আগের আদেশটি পরিবর্তন করেছিলেন। আর, মিশ্রের মেয়াদ বাড়িয়ে তিন বছর করেছিলেন।