বিচারক নিয়োগে বিলম্বের ঘটনায় মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হাইকোর্টের বিচারকদের নিয়োগ এবং বদলির জন্য সুপারিশের মুলতুবি থাকার ব্যাপারে শীর্ষ আদালত বলেছে যে বিষয়টি আরও যত্ন নিয়ে 'নিরীক্ষণ' করা হবে। শুধু তাই নয়, যতক্ষণ না নিয়োগ হচ্ছে, ১০-১২ দিন পরপরই নিরীক্ষণ করা হবে। বেঞ্চ বলেছে যে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম সরকারের কাছে ৭০টি সুপারিশ করেছিল। সেই সমস্ত সুপারিশ এখনও কার্যকর হয়নি।
বিচারপতি এসকে কউল ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চটি বেঙ্গালুরু অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশনের একটি আবেদনের শুনানি করার সময় একথা জানিয়েছে। বেঙ্গালুরু অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশন বিচারক নিয়োগে বিলম্বের অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি চেয়েছে। সেই মামলায় বিচারপতি কউল মঙ্গলবার বলেন, 'বিভিন্ন ভাবে, আমরা এই জিনিসগুলোয় ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন আমরা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চাই।' বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারমানির কাছে খেদোক্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের করা এই ৭০টি সুপারিশ বর্তমানে সরকারের কাছে মুলতুবি রয়েছে।
বিচারপতি কউল বলেছেন যে চার দিন আগে পর্যন্ত মুলতুবি থাকা ফাইলের সংখ্যা ৮০ ছিল। তারপর থেকে, সরকার ১০টি সুপারিশের ব্যবস্থা করেছে। যার অর্থ, মুলতুবি থাকা ফাইলের সংখ্যা বর্তমানে ৭০। বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে মুলতুবি থাকা ফাইলগুলোর মধ্যে একটি হল একটি 'সংবেদনশীল রাজ্যের হাইকোর্টের' প্রধান বিচারপতি নিয়োগ। এই সংবেদনশীল রাজ্য হল মণিপুর। সেখানে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ২০২৩ সালের ৫ জুলাই, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুলকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল।
আরও পড়ুন- আর জল্পনা নয়, একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গেল রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন
আদালতের কাছে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারমানি বিষয়টির জন্য একসপ্তাহ সময় চেয়ে নেন। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি কউল বলেন, 'আমি অনেক কিছু বলার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু, যেহুতু অ্যাটর্নি সাত দিন সময় চেয়েছেন, তাই আপাতত কিছু বলছি না।' কিন্তু, যতদিন না কাজ হচ্ছে, প্রতি ১০-১২ দিন অন্তর আদালত বিষয়টির ওপর নিরীক্ষণ করবে বলে বিচারপতি জানান।