রাজীব গান্ধির হত্যাকাণ্ডে অন্যতম দোষী সাব্যস্ত এ জি পেরারিভলনকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বুধবার তাঁকে জামিন দিলেও রাজ্যপালের সম্মতি না মেলা পর্যন্ত তাঁকে জেল থেকে মুক্ত করা হবে না। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ৩০ বছরের বেশি জেল খেটেছেন, তাই তাঁর জামিন মঞ্জুর করছে আদালত।
যদিও এদিন সরকার পক্ষের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কে এম নটরাজ জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত জানিয়েছে, পেরারিভলন ৩২ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেছে, তাঁর কোনও সমস্যা নেই। আগেও তাঁকে দুবার প্যারোলে মুক্ত করা হয়। তাতেও কোনও অভিযোগ ওঠেনি। পেরারিভলন বলেছেন, রাজ্যপাল তাঁর সাজা কমানোর আবেদনে সিদ্ধান্ত নেননি। যে কারণে তাঁর জামিন পিছিয়ে ছিল।
সরকার এই জামিনের বিরোধিতা করে জানায়, রাষ্ট্রপতি পেরারিভলনের আবেদনের বিচার করার জন্য আদর্শ ব্যক্তি। এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রের হাতেই সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকা উচিত মুক্তির আবেদন গৃহীত হবে কি না। আগেই মৃত্যুদণ্ড থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছেন পেরারিভলন। ক্ষমাভিক্ষার আবেদন গৃহীত না হওয়ায় জামিন পাওয়া একপ্রকার সুবিধা ভোগ করা, যা অনৈতিক।
আরও পড়ুন কান্দাহার বিমান অপহরণকারী করাচিতে নিহত, জাহুর মিস্ত্রির শেষকৃত্যে হাজির মাসুদ আজহারের ভাই
মাত্র ১৯ বছর বয়সে রাজীব হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন পেরারিভলন। ১৯৯৯ সালে তাঁকে মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়। বেল্ট বোমার জন্য ৮ ভোল্টের ব্যাটারি জোগাড় করেছিলেন পেরারিভলন। যা দিয়ে পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে হত্যা করা হয়। ২০১৪ সালে পেরারি এবং মুরুগান ও সান্থনের সাজা কমানো হয়। তাঁদের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এর পর পরই তৎকালীন এআইএডিএমকে সরকার সাত দোষীকে মুক্তির আদেশ দেয়। কিন্তু ২০১৫ সালে পেরারিভলনের আবেদন গ্রহণ করেননি রাজ্যপাল।