দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিষয়ে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেশে তথ্য নিরাপত্তা ও তথ্য গোপনীয়তা রক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে’। এ জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা ভার্চুয়াল আদালতও তৈরি করছি। আজ বেশিরভাগ হাইকোর্ট শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং করছে, যার ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। ইউটিউবেও অনেক মজার ঘটনা ঘটছে, যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এটি একটি গুরুতর সমস্যা কিন্তু লাইভ স্ট্রিমিং এর আরেকটি দিক হল, একজন বিচারক হিসাবে, আমাদেরকে আরও বেশি প্রশিক্ষিত হতে হবে। আমরা যা বলি প্রতিটি শব্দই জনগণের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বিচারপতিদের আরও বেশি প্রশিক্ষিত হতে হবে।
সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এদিনের অনুষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা ও ডেটা সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সিজেআই বলেছেন যে ‘আমরা এর জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি তবে তার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। আমরা ডেটা সুরক্ষা এবং গোপনীয়তার জন্য একটি জাতীয় মডেল তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, যখন এটি সম্পূর্ণ হবে, আমরা একটি বড় মাইলফলক অর্জন করব।
তিনি আরও বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট শুধু তিলক মার্গের নয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত'। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তিলক মার্গের সুপ্রিম কোর্ট নয়, এটি গোটা দেশের সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠনের দাবির মধ্যে ওড়িশায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, প্রযুক্তিগত উন্নতি হাইকোর্টের বেঞ্চের প্রয়োজনীয়তা দূর করেছে। এখন প্রতিটি জেলায় ভার্চুয়াল আদালত রয়েছে।
তিনি ওডিশার ৩০টি জেলার মধ্যে ২০টিতে ই-কোর্ট স্থাপনে হাইকোর্টের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জেলাগুলিতে ভার্চুয়াল আদালত স্থাপন ওড়িশা হাইকোর্টকে "সত্যিকারের প্রতিনিধি" হতে সক্ষম করেছে। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তিলক মার্গের সুপ্রিম কোর্ট নয়, এটি দেশের সর্বোচ্চ আদালত যা দেশের জন্য এবং দেশের পক্ষে। একইভাবে, প্রতিটি হাইকোর্ট আসলে রাজ্যের প্রতিটি শহরের রাজধানীর হাইকোর্ট নয়।
হাইকোর্টের বিভিন্ন কার্যক্রমের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি চন্দ্রচচূড় বলেন, ‘এই শুনানির অনেক মজার ক্লিপ ইউটিউবে পাওয়া যায়, এটি প্রযুক্তির অন্য দিক। এটি বিচারক হিসাবে আমাদের উপর নতুন প্রত্যাশা রাখে’। তিনি বলেন, “বিচারপতি হিসাবে আদালতে আমরা যে কথা বলি তা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে পাবলিক ডোমেনে রয়েছে। বিচারক হিসেবে আমাদের আরও বেশি প্রশিক্ষিত হওয়া দরকার।"