পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করার ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে শুক্রবার নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ তকমা’ প্রত্যাহার করে সাবেক রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিভক্ত করার পর থেকেই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবল উপস্থিতি চোখে পড়েছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে উপস্থিত সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে দু' সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে মতামত জানাতে নির্দেশও দিয়েছে।
আরও পড়ুন- গোলকিপার পুরস্কার পেতে চলেছেন মোদী
উল্লেখ্য, 'সাধারণ মানুষ হাইকোর্টে যেতে পারছেন না’, এই অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক দিন আগেই জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। প্রধান বিচারপতি জানান, জম্মু-কাশ্মীরের প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে একটি রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন যেখানে হাইকোর্ট লকডাউনের দাবিটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির অবশ্য বক্তব্য, এছাড়াও বেশ কিছু রিপোর্টও আদালতের কাছে এসেছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুনানির শেষ দিনে আবেদনকারী পক্ষের বর্ষীয়ান আইনজীবি এইচ আহমাদি আদালতে জানান, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট বন্ধ থাকায় তাঁরা আদালতের কাছে তাঁদের আবেদন জমা করতে পারছেন না। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের তরফে কঠোর অবস্থান নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়।
-->এমনকি, শিশুদের আটক করে রাখার বিষয়টি নিয়েও রাজ্য প্রশাসনকে নোটিস জারি করে প্রধান বিচারপতি জানান, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে সর্বসাধারণের দৃষ্টি থেকে যেন বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। উল্লেখ্য, কর্তৃপক্ষ আইনি ক্ষমতা প্রদর্শন করে জম্মু কাশ্মীরে যে সব ব্যাক্তিদের আটক করছে সেই বিধানকেই কার্যত এদিন চ্যালেঞ্জ জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নোটিসের মধ্য দিয়ে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ একটি রিপোর্ট বলেন, আবেদনকারীদের অভিযোগ যদি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির রিপোর্টের পরিপন্থী হয়, সেক্ষেত্রে আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- ‘বাবুলের গায়ে যারা হাত দিয়েছে, তাদের হাত ভাঙব’, ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দিলীপের
এমনকি জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যেতে পারেন দেশের প্রধান বিচারপতি , এমনটাই জানানো হয়েছিল সোমবার। শিশু অধিকারকর্মী এণাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রঞ্জন গগৈ বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয় যে সাধারণ মানুষ হাইকোর্টের কাছে আবেদন করতে পারছেন না। প্রয়োজনে আমি নিজেই সেখানে যাব।” এদিকে জম্মু কাশ্মীর হাইকোর্টে সাধারণ বিচারপ্রার্থী মানুষ তথা মামলাকারীরা পৌঁছতে পারছেন কি না, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
Read the full story in English