লখিমপুর খেরি মামলায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের স্ট্যাটাস রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। যেভাবে তদন্ত প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি বলেই স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
গত ৩রা অক্টোবর উত্তরপ্রদেশে লখিমপুরে কৃষকদের বিক্ষোভ অন্দোলনের মধ্যে তিনটি ইসইউভি ঢুকে পড়ে। পিষে দেয় কৃষকদের। নিহত হন চার কৃষক। পরে আরও চার জনের মৃত্যু ঘটে। ঘাতক একটি এসইউভি-তে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে অশিস মিশ্র। এই ঘটনায় উত্তাল হয় দেশ।
পুলিশ প্রথমে অভিযুক্ত অশিস মিশ্রকে ধরতে পারেনি। পলাতক ছিলেন তিনি। লখিমপুরের ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৮ অক্টোবর শীর্ষ আদালতে এই মামলার প্রথম শুনানি হয়। কেন অভিযুক্তদের তখনও গ্রেফতার করা হয়নি? সেই শুনানিতেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এই প্রশ্নই করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। যাতে সাক্ষ-প্রমাণ নষ্ট না হয় সেদিকেও নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। হত্যার ঘটনার তদন্তে আইন সবার ক্ষেত্রে সমান বলে পুলিশকে সতর্ক করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
গত ২৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে লখিমপুর মামলার সর্বশেষ শুনানি হয়েছিল। এই মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিৎ করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সমাবেশ কয়েকশ কৃষকের উপস্থিতি সত্ত্বেও মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড কেন কেন করা হয়েছে? তা নিয়েও পুলিশকে প্রশ্ন করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও লখিমপুরে ঘাতক গাড়ির দখলদার শ্যামসুন্দরের মৃত্যুর ঘটনার স্ট্যাটাস রিপোর্টও পুলিশকে জমা দিতে বলে কোর্ট।
পাল্টা উত্তরপ্রদেশ সরকার কোর্টকে জানিয়েছিল যে, এই মামলার তদন্তে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। রাজ্য এ নিয়ে বিস্তারিত স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেবে। যা নিয়ে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতির ডজিভিশন বেঞ্চ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন