যোগী সরকারের আবেদনে সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের। কুখ্যাত গ্যাংস্টার তথা বিধায়ক মুখতার আনসারিকে পাঞ্জাবের রোপার জেল থেকে উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলে দুসপ্তাহের মধ্যে স্থানান্তরের নির্দেশে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর আগে পাঞ্জাব সরকার উত্তরপ্রদেশ সরকারের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল। তারপর যোগী সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে।
শীর্ষ আদালত দুটি পিটিশনের আবেদন শোনে। একটি উত্তরপ্রদেশ সরকারের দায়ের করা আনসারিকে স্থানান্তরের আর্জি। এবং আরেকটি বিএসপি বিধায়কের পাল্টা মামলার শুনানি। যেখানে তিনি মামলার শুনানি দিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন করেন। আনসারির আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে নির্দেশ দেয়, বিএসপি বিধায়ককে দুসপ্তাহের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের জেলে স্থানান্তর করতে হবে।
আনসারির বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা রুজু হয়। পাঞ্জাব ও দিল্লির হোমল্যান্ড গ্রুপের সিইও অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বিরুদ্ধে। মোহালির পুলিশ সুপারের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ওই আধিকারিক জানান, ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের আনসারি নামে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে ১০ কোটি টাকা দাবি করে। নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষা চাইলে সেই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। সেই কল রেকর্ডও পুলিশ সুপারকে দেন ওই আধিকারিক।
এরপর পুলিশ বান্দার বাসিন্দা আনসারির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। পাঞ্জাব পুলিশ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। জেল থেকেই ফোন করে হুমকি দিয়েছিলেন আনসারি। তারপর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে রোপার জেলে নিয়ে আসে। গত বছর অক্টোবরে বিজেপি বিধায়ক অলকা রাই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেন কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব সরকার কোর্টের শুনানি থেকে আড়াল করছে আনসারিকে। তাঁর স্বামী প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণনন্দ রাইকে ২০০৫ সালে গাজিপুরে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে আনসারির বিরুদ্ধে।