Advertisment

হিন্দুদের জন্য সংরক্ষণের আবেদন, মুখ ঘোরাল আদালত, দায়িত্ব ছাড়ল সরকারের কাঁধে

আবেদনটি করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
places of worship

গান্ডারবালের ক্ষীর ভবানী মন্দিরে বার্ষিক উৎসবের সময় হিন্দু ভক্তরা প্রার্থনা করছেন। (শোয়েব মাসুদির এক্সপ্রেস ছবি)

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখদের মুসলমান, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের মত তাদের ধর্মীয় স্থানগুলির প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার চেয়ে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। একইসঙ্গে আদালত এই আবেদনকে একটি 'প্রচার-ভিত্তিক মামলা' বলে অভিহিত করেছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ বলেছে যে বিষয়টি সংসদের আওতায় পড়ে। আদালত তাতে ঢুকবে না।

Advertisment

শীর্ষ আদালতে আবেদনটি দাখিল করেছিলেন প্রবীণ আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাঁর সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বলেছে, 'মিস্টার উপাধ্যায়, একটি উপযুক্ত আবেদন দাখিল করুন। এই আবেদনগুলো কী? এগুলো কি মঞ্জুর করা যেতে পারে? এই আবেদনটি প্রত্যাহার করুন এবং এমন কিছুর জন্য আবেদন করুন, যা মঞ্জুর করা যেতে পারে। এমন আবেদন দাখিল করুন, যার ভিত্তি আছে। এতো সব প্রচারভিত্তিক মামলা। এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।'

শীর্ষ আদালতে আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় তাঁর দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে ধর্মীয় এবং দাতব্য সংস্থাগুলোর জন্য একটি অভিন্ন বিধিও চেয়েছিলেন। তিনি দেশজুড়ে হিন্দু মন্দিরগুলোর ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে বলা ছিল, এই সব প্রতিষ্ঠানগুলো কেবলমাত্র হিন্দুরাই পরিচালনা করবেন। সেই নির্দেশ দিতে হবে। আইনজীবী অশ্বিনীকুমার দুবের মাধ্যমে দাখিল করা এই আবেদনে সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকার চাওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন- গাজার হাসপাতালে হামলার পিছনে আসলে কে? ফাঁস করলেন বাইডেন, কড়া বার্তা মোদীরও

আবেদনে বলা হয়েছিল, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার অধিকার সমস্ত সম্প্রদায়ের নিজস্ব অধিকার। কিন্তু, হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখদের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশে প্রায় নয় লক্ষ হিন্দু মন্দিরের মধ্যে প্রায় চার লক্ষ সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপাধ্যায়ের আবেদনের পাশাপাশি, শীর্ষ আদালত একই নির্দেশ চেয়ে দাখিল করা হিন্দু নেতা স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ সরস্বতীর আবেদন গ্রহণ করতেও বুধবার অস্বীকার করেছে।

Hindu Supreme Court of India Justice Chandrachur
Advertisment