Advertisment

ভারতে মেয়ে এবং মহিলারা চতুর্দিকে ধর্ষিত হচ্ছেন: সুপ্রিম কোর্ট

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB)-র তথ্যের ভিত্তিতে দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ভারতে প্রতি ছ'ঘন্টায় একজন মহিলা ধর্ষিত হন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sc

দেশ জুড়ে মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনায় অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে উদবেসগ প্রকাশ করেছেন দেশের শীর্ষ আদালত

দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ সুপ্রিম কোর্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশে মহিলারা "লেফট, রাইট অ্যান্ড সেন্টার" ধর্ষিত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB)-র তথ্যের ভিত্তিতে দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ভারতে প্রতি ছ'ঘন্টায় একজন মহিলা ধর্ষিত হন।

Advertisment

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের একটি রিপোর্টে প্রকাশ, তিন বিচারকের একটি বেঞ্চ, যাতে রয়েছেন এম বি লোকুর, দীপক গুপ্ত এবং কে এম জোসেফ, প্রশ্ন তুলেছে, "কী কর্তব্য? মেয়ে এবং মহিলারা চতুর্দিকে ধর্ষিত হচ্ছেন।" NCRB-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ভারতে ৩৮,৯৪৭-জন মহিলা ধর্ষিত হন।

গত সপ্তাহে মুজফফরপুরের শেল্টার হোমে ৩৪ জন নাবালিকার যৌন নিগ্রহের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্বতপ্রবৃত্ত হয়ে (suo moto cognizance) রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রের মহিলা এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রককে নোটিস জারি করেন।

যৌন নিগ্রহের ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ পায় এ বছরের এপ্রিল মাসে, যখন টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সেস শেল্টার হোমের একটি অডিট করার সময় আবিষ্কার করে যে হোমে আশ্রিতা বহু নাবালিকা যৌন নিগ্রহের শিকার। এখন পর্যন্ত এই মামলায় এগারো জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন মূল অভিযুক্ত বৃজেশ ঠাকুর, যিনি সেবা সঙ্কল্প এবং বিকাশ সমিতি নামক একটি এনজিও-র কর্ণধার। বিস্ময়করভাবে, টাটা ইন্সটিটিউট তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার একমাস পরও বিহারের সমাজকল্যাণ দপ্তর এই সংস্থাকে আরও একটি প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে ঠিক সেইদিন, যেদিন সংস্থাটির নামে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে।

আরও পড়ুন: দেওরিয়ার হোমের ১০ বছরের সাক্ষীর বয়ান: "চারটেয় নিয়ে যেত, সকালে ফিরত"

শীর্ষ আদালতের তিরস্কারের সন্মুখীন হতে হলো নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন বিহার সরকারকেও, এমন এক শেল্টার হোমের দায়িত্বে থাকা ওই এনজিও-র ব্যয়ভার বহন করবার জন্য। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, আদালতের প্রশ্ন ছিল, "রাজ্যে ওই শেল্টার হোম চলার টাকা কে দিচ্ছে?"

হোমের মেয়েরা কোনরকম সরকারি সাহায্য পেয়েছে কী না, এই প্রশ্নের উত্তরে অ্যামিকাস কিউরি অপর্ণা ভট আদালতকে জানান যে তথাকথিত কোনও যৌন নিগ্রহের শিকারকে কোনরকম ক্ষতিপূরণ এখন অবধি দেওয়া হয় নি।

এদিকে পাটনা হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আদালত এই মামলায় সিবিআই তদন্তের তদারকি করবে। আদালতের তরফ থেকে সিবিআই-কে দু'সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে মামলার রিপোর্ট তৈরি করার জন্য।

অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের দেওরিয়ায় আরেকটি শেল্টার হোম থেকে ২৪ জন মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে, যারা সকলেই সম্ভাব্য যৌন নিগ্রহের শিকার। যে দম্পতি ওই হোমটি চালাতেন এবং হোমের সুপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের কাজও শুরু হয়েছে।

লোকসভার বাদল অধিবেশনে এই ঘটনার বিবৃতি দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এটিকে "গুরুতর এবং দুঃখজনক" বলে বর্ণনা করেছেন, এবং ঘোষণা করেছেন, "কেউ নিস্তার পাবে না।"

Advertisment