ট্রাইবুনাল সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। ট্রাইবুনালের ফাঁকা পদপূরণে কেন গড়িমসি করা হচ্ছে তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ইতিমধ্যেই নয়া ট্রাইবুনাল আইন পাস করেছে মোদী সরকার। এ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট শোমবার জানিয়েছে যে, "বিধানের ভার্চুয়াল প্রতিলিপি আদালত কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে।"
প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এলএন রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন ট্রাইবুনাল মামলার শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, 'আদালতের রায়ের প্রতি কোনও সম্মান দেখানো হচ্ছে না। আপনারা (কেন্দ্র) আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছে! ট্রাইবুনালের সদস্য হিসাবে আপনারা বলেছেন কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। কতজন নিয়োগ করা হয়েছে?' এই পরিস্থিতিতে আদালত 'খুবই হতাশ' বলে কেন্দ্রকে তিরস্কার করেছে শীর্ষ আদালত।
এরপর এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে কেন্দ্রকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয। তার মধ্যেই ট্রাইবুনালের প্রয়োজীয় নিয়োগ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।
আরও পড়ুন- সপ্তাহের শুরুতেই নিম্নমুখী দেশের কোভিড-গ্রাফ, মৃত্যুর হার কমে ১.৩৩ শতাংশ
নয়া আইনে কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যানের মেয়াদ কমানো হয়েছে। যা নিয়েই মূল সংঘাত। ট্রাইবুনাল মামলায় প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এলএন রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতাকে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতিদের কথায়, 'এই অবস্থায় আমাদের হাতে তিনটি বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, আমাদের আইনশভার কথা মেনে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের সব ট্রাইবুনাল বন্ধ করে দিতে হবে ও সব ক্ষমতা হাইকোর্টকে দিতে হবে। তৃতীয়ত, সেখানে সদস্যদের নিয়োগ করতে হবে। আমাদের প্রস্তাব না মানলে সরকারের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ আনা হবে।'
সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্পষ্ট করা হয় যে, 'শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের সঙ্গে কোনও সংঘাত চান না। যেভাবে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ হলে তাতে আমরা খুশি। কিন্তু, চেয়ারপার্সন ও সদস্যদের অভাবে ট্রাইবুনালগুলির কার্যত মৃতপ্রায় অবস্থা হয়েছে।' জবাবে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, 'কেন্দ্রের ট্রাইবুনাল বন্ধের কোনও অভিপ্রায় নেই।'
সদ্য সমাপ্ত বাদল অধিবেশনে সংসদে পাস করা হয় নয়া ট্রাইবুনাল আইন, যা ১৩ অগস্ট রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়েছে। এই আইনের বিভিন্ন বিধানের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এ দিন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন