গোরক্ষা ও তৎসংক্রান্ত গণপ্রহারের ঘটনায় যেসব রাজ্য পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও জমা দেয়নি, তাদের এক সপ্তাহ সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৭ জুলাইয়ের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবারের এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মাত্র ১১টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল এ ব্যাপারে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
শীর্ষ আদালত একই সঙ্গে জানিয়েছে যেসব রাজ্য এই সময়সীমার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে পারবে না, সেই রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রসচিবকে আদালতে সশরীরে হাজির হতে হবে।
আরও পড়ুন, আলওয়ার গণপ্রহার: স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতে দেরির কথা স্বীকার করল পুলিশ
গত ২০ জুলাই রাজস্থানে ডেয়ারি চাষি রাকবার খানের গণপ্রহারের ঘটনায়, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জন্য ওই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও মুখ্য পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার আবেদন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা তেহসান পুনাওয়ালা। সেই মামলার শুনানিতেই এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।
শুনানির সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশক্রমে, গণপ্রহার সম্পর্কিত আইন গঠনের জন্য বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে।
গত ১৭ জুলাইয়ের শুনানির সময়ে শীর্ষ আদালত গোরক্ষা ও গণপ্রহারের ঘটনা আটকাতে বিশেষ আইন প্রণয়নের কথা বলেছিল।
আদালত এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারগুলিকে গণহিংসা ও গণপ্রহারের ঘটনা প্রতিরোধে প্রতি জেলায় শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিক (অন্তত এস পি পদমর্যাদার), এবং তাঁকে সহায়তার জন্য ডিএসপি-কে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, ওই নোডাল অফিসাররা যারা হেট স্পিচ, ভুয়ো খবর ছড়ায়, তাদের সম্পর্কে খবর সংগ্রহে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করবেন।
যেসব জায়গায় গত পাঁচ বছর ধরে গণপিটুনি ও গণ হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব নোডাল অফিসারদের নির্দেশ দেবেন ওই এলাকার ওসি-দের এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে, এমনটাও বলেছিল শীর্ষ আদালত।