৩৭০ ধারা বাতিলের মামলা বৃহত্তর বেঞ্চ পাঠানো হবে না। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এনভি রামানা-র নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চেই এই মামলার শুনানি চলবে।
Advertisment
গত ৫ আগস্ট কেন্দ্র জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বহু মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। ইতিমধ্যে ২৩ জন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বিচারপতি রামানা, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউল, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি, বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি সূর্য কান্তকে নিয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। যা চলবে বলে এদিন রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
রায়ে বলা হয়েছে, প্রেমনাথ কাউল বনাম জম্মু-কাশ্মীর মামলা (১৯৫৯) ও সম্পত প্রকাশ বনাম জম্মু-কাশ্মীর (১৯৬৮) মামলার নির্দেশে কোনও 'প্রত্যক্ষ বিরোধ' নেই। ফলে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর আর্জি খারিজ করা হচ্ছে।
গণপরিষদের বদলে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত কীভাবে মোদী সরকার একতরফাভাবে নিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় আদালতে। আইনজীবী সঞ্জয় পারেখ জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের সঙ্গে প্রেমনাথ কাউল ও সম্পত প্রকাশ মামলার রায়ের উল্লেখ করে ৩৭০ ধারা বাতিলের মামলাটি বৃহত্তর সাত সদস্যের বেঞ্চে পাঠানোর দাবি করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল আগেই জানিয়েছিলেন যে ৩৭০ ধারা ইস্যুটি আগেই 'নিষ্পন্ন' বলে বিবেচিত হয়েছে। আগের দুটি উল্লেখিত মামলার রায়ের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
হত ৫ই আগস্ট কেন্দ্র জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে। রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত আঞ্চলে ভাগ করার কথা ঘোষণা করে। ৩৭০ ধারা বতিলের বিরুদ্ধে আদালতে ২৩টি আবেদন জমা পড়ে।