/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/reservation.jpg)
১০ শতাংশ সংরক্ষণে স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অলঙ্করণ: সি আর শশীকুমার, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
সংরক্ষণ নিয়ে অনেকটাই স্বস্তি পেল মোদী সরকার। ১০ শতাংশ সংরক্ষণে স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে এদিন জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আর্থিকভাবে অনগ্রসর সাধারণ শ্রেণির জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিলে অনুমোদন করেছে মোদীর মন্ত্রিসভা।
উল্লেখ্য, মোদী সরকারের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বেশ কয়েকটি পিটিশন দাখিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সংরক্ষণকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজনৈতিক কর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা। ‘ইয়ুথ ফর ইক্যুয়েলিটি’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও পিটিশন দাখিল করে।
Supreme Court issues notice on petitions challenging economic reservation. Says “we will examine” the matter but refuses to stay. Court to hear matter after pleadings are complete @IndianExpress
— Ananthakrishnan G (@axidentaljourno) January 25, 2019
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর সাধারণ শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিলে অনুমোদন দিয়েছে মোদী মন্ত্রিসভা। সরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ও সরকারি চাকরিতে এই সংরক্ষণ কার্যকর হবে। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসতেই সংরক্ষণ ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। মোদী সরকারের এহেন সংরক্ষণ নিয়ে সরবও হয়েছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন, আর্থিক অবস্থার নিরিখে সংরক্ষণ অসাংবিধানিক: চেলামেশ্বর
১০ শতাংশ সংরক্ষণে সায় দিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্যও। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভা এই সংরক্ষণ নীতিকে সমর্থন জানিয়েছে। ঝাড়খণ্ডেও এই সংরক্ষণ নীতি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। পাশাপাশি গুজরাতও এই সংরক্ষণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে।
১০ শতাংশ সংরক্ষণের আওতায় কে কে?
সাধারণ শ্রেণি (জেনারেল কাস্ট) বলতে স্বাভাবিকভাবে অ-দলিত, অন্যান্য অনগ্রসর জাতি (ওবিসি) এবং উপজাতি (ট্রাইবাল) সম্প্রদায়ের বাইরে মূলত উচ্চবর্ণের ভারতীয় নাগরিকদের কথাই বোঝানো হয়েছে। এই ধরনের জনগোষ্ঠীর মধ্যে যেসব পরিবারের সব সদস্যের মিলিত বার্ষিক আয় আট লক্ষ টাকার কম ও যাঁদের পাঁচ একরের কম কৃষি জমি রয়েছে, সেই পরিবারের সদস্যরাই কেবল ‘অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর সাধারণ শ্রেণি’ হিসাবে বিবেচিত হবেন এবং সংরক্ষণের আওতায় ঠাঁই পাবেন। পাঁচ একরের বেশি কৃষিজমি অথবা ১ হাজার বর্গফুট বা এর থেকে বেশি আয়তনের আবাসিক ফ্ল্যাট অথবা বিজ্ঞাপিত (নোটিফায়েড) পৌর এলাকায় ১০০ গজের বসবাসযোগ্য জমি অথবা বিজ্ঞাপিত নয় এমন (আদার দ্যান নোটিফায়েড) পৌর এলাকায় ২০০ গজের বসবাসযোগ্য জমির মালিকানাধীন পরিবারের কোনও সদস্য এই ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন না।
Read the full story in English