Advertisment

Election Commissioners: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আপাতত স্বস্তি কেন্দ্রের, ৬ সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে জবাব

নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে যে আপিল করা হয়েছে। এদিন তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
SC Election Commissioners appointment

সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কেন্দ্রও অস্বীকার করেছিল যে পরের দিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য বাছাই কমিটির বৈঠক অগ্রসর হয়েছিল। (ফাইল ছবি)

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত।

Advertisment

নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত আরও জানিয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই। তবে আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মূল আবেদনগুলো খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে আদালত। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে অগাস্টে।

এদিন এই মামলার শুনানি করেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। দুই বিচারপতি কেন্দ্রের কাছে জানতে চান কেন প্রার্থীদের নাম বিবেচনা করার জন্য নির্বাচন কমিটিকে সময় দেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালের আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পিটিশনের প্রেক্ষিপ্তে ৬ সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে আদালত।

নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই
এর আগে কেন্দ্র বুধবার ২০ মার্চ একটি হলফনামা দাখিল করেছিল। সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হলফনামায় কেন্দ্র বলেছে যে নির্বাচন কমিটিতে প্রধান বিচারপতি থাকলেই কমিশন স্বাধীন হবে এই যুক্তিটি ভুল। নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। এই আবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করা। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। নতুন আইন অনুসারে, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলের পদত্যাগ এবং অনুপ পান্ডের অবসর নেওয়ার পরে, ১৪ মার্চ দুই নতুন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার-সুখবীর সান্ধু নিয়োগ করা হয়েছে।

২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার মাত্র কয়েক দিন আগে দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছিল। এখন সেই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিয়োগ বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে দাবি জানানো হলেও আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আদালত নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে। নিয়োগ কমিটিতে প্রধান বিচারপতিকে রাখারও দাবিও জানানো হয় আবেদনকারী তরফে।

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন্দ্রকে স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। 'নির্বাচনের মাঝখানে কমিশনের কাজকে প্রভাবিত করা ঠিক নয়',এমনই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য ২ নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে এদিন স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে আদালত। তবে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত আলোচনা করতেও বলেছে আদালত। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৬ সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ইস্যুতে স্বস্তি পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত।প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ইস্যুতে স্বস্তি পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে নির্বাচিত নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলছে না। কিন্তু যে প্রক্রিয়ার অধীনে তাদের নির্বাচন করা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আদালত। এ বিষয়ে কেন্দ্রকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতের মন্তব্য
আদালত তার মন্তব্যে বলেছেন, 'সংসদে পাস করা আইনে নির্বাচন কমিশনারদের নির্বাচন করা হয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়ে আইন বন্ধ করব না। নির্বাচনের মাঝে কমিশনের কাজকে প্রভাবিত করা ঠিক নয়'।

বৈঠকের তারিখ পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন
বৈঠকের তারিখ পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত বলেছে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কমিটিকে আরও সময় দেওয়া উচিত ছিল।

মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগস্টে

তবে সুপ্রিম কোর্ট সংসদে পাস করা আইনের বৈধতা নিয়ে বিস্তারিত শুনানি করতে রাজি হয়েছে। জবাব দিতে সরকারকে ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এখন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগস্টে। শুনানির সময়, বিচারকরা প্রশ্ন তোলেন যে নির্বাচন কমিটির বৈঠকটি ১৫ মার্চ থেকে কেন ১৪ মার্চ পরিবর্তন করা হয়েছিল। এছাড়াও সার্চ কমিটির বাছাইকৃত নামগুলো বৈঠকের মাত্র কিছু সময় আগে কেন বিরোধী দল নেতাকে দেওয়া হয়। যার কারণে তিনি পর্যাপ্ত তথ্য জোগাড় করতে পারেন নি।

election commission
Advertisment