সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা একটি আবেদনের ওপর তার রায়দান স্থগিত রেখেছে। ৩৭০ ধারা পূর্ববর্তী জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা নিশ্চিত করেছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ১৬ দিনের ম্যারাথন শুনানির পর রায় স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঙ্গলবার।
আবেদনকারীরা, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে যুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন। এই আইন পূর্ববর্তী রাজ্যটিকে জম্মুও কাশ্মীর এবং লাদাখ-এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে। বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানির শেষ দিনে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল, গোপাল সুব্রমনিয়াম, রাজীব ধাওয়ান, জাফর শাহ, দুষ্যন্ত দাভে এবং অন্যান্যদের জবাবদিহিমূলক যুক্তি শুনেছেন।
ম্যারাথন ১৬-দিনের শুনানির সময় সংবিধানের ৩৭০ ধারা-সহ বিস্তৃত ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রের ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক বৈধতা। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের বৈধতা। পূর্ববর্তী রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা। জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৮ সালের ২০ জুন রাজ্যপালের শাসন জারি করা। ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর পূর্ববর্তী রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা। আর, এই সব বিষয়গুলোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।
আরও পড়ুন- ভারত’ নাম নিয়ে এত বিতর্ক! এই নামের আদৌ কোনও ভিত্তি আছে?
গোটা বিষয়ে সরকারপক্ষের মতামতও শুনেছেন বিচারপতিরা। জানতে চেয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরকে পুনরায় রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও রাস্তা খোলা আছে কি না। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য তার অবস্থানে অনড়। জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে দেশের নিরাপত্তার যুক্তিকে আদালতে সরকার বড় করে দেখানোর চেষ্টা করেছে। এমনিতে নানা ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে শীর্ষ আদালতের সম্পর্ক বর্তমানে মোটেও মধুর নয়। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালত ঠিক কী রায় দেয়, সেদিকে তাকিয়ে দেশবাসী।