মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত আবু সালেমকে সাজা শেষে মুক্তি দিতে বাধ্য কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সালেম আদালতকে জানিয়েছিল, ভারতে তার সাজার মেয়াদ কিছুতেই ২৫ বছরের বেশি হতে পারে না। তার প্রত্যর্পণের আগে ২০০২ সালে এই শর্তেই পর্তুগাল তাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল।
সালেমের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এসকে কল ও বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতিকে সংবিধানের ৭২ নম্বর ধারা প্রয়োগের পরামর্শ দিতে পারে। সেই পরামর্শ মেনে রাষ্ট্রপতি দেশের অঙ্গীকারের কথা মাথায় রেখে সাজা শেষের পর সালেমের মুক্তির নির্দেশ দিতে পারেন।
একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, শুধু রাষ্ট্রপতিই নয়। কেন্দ্রীয় সরকারও চাইলে সালেমকে মুক্তি দিতে পারে। বন্দি গ্যাংস্টারের সাজার মেয়াদ ২৫ বছর পেরোলেই তার মুক্তির কাগজপত্র এজন্য সরকারকে জেলে পাঠাতে হবে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, এক বিশেষ টাডা আদালত মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ জৈন ও তাঁর গাড়িচালক মেহেন্দি হাসানকে হত্যার মামলায় সালেমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৫ সালে। কিন্তু, ২৫ বছর জেলবন্দি থাকার পর সালেম মুক্তি পাওয়ায়, সেই নির্দেশ কার্যকর হবে না। কারণ, বর্তমানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডর অর্থ হল আজীবন জেলে থাকা।
আরও পড়ুন- জয়ললিতার দলে কোন্দল তুঙ্গে, দল থেকে বহিষ্কৃত পনিরসেলভাম, নয়া সাধারণ সম্পাদক পালানিস্বামী
মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত আবু সালেম মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গী ছিল। দাউদের নির্দেশেই সে বিভিন্ন দুষ্কর্ম করত। যদিও পরে দাউদের সঙ্গে তার বনিবনা না-হওয়ায়, আলাদা মাফিয়া গ্যাং তৈরির চেষ্টা করেছিল সালেম। মুম্বইয়ের সিনেমা জগতের সঙ্গে সালেমের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা ছিল। ভুয়ো নথি দেখিয়ে এই গ্যাংস্টার পর্তুগালের নাগরিকত্ব পর্যন্ত করে নিয়েছিল।
অভিনেত্রী মণিকা বেদীকে নিয়ে সে পর্তুগালে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। পর্তুগালে সে মণিকা বেদীকে বিয়েও করেছিল বলেই অভিযোগ। সালেমকে ভারতে ফেরানোর সময় তার সঙ্গে মণিকা বেদীও ছিল। মণিকা বেদীকেও সালেমের সঙ্গেই ভারতে ফেরানো হয়েছে।
Read full story in English