কলেজিয়াম নিয়ে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে মন্তব্য খোলা মনে নেয়নি শীর্ষ আদালত। সরকারি পদাধিকারীদের কড়া সমালোচনা করে একথা স্পষ্ট করে দিলেন বিচারপতিরা। শীর্ষ আদালতের এই মন্তব্য এমন একটা সময়ে সামনে এল, যখন কলেজিয়াম নিয়ে বিচারব্যবস্থা ও কেন্দ্রের মধ্যে রীতিমতো টানাপোড়েন চলছে। বিশেষ করে আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মন্তব্যের পর সেই টানাপোড়েন তুঙ্গে উঠেছে।
তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানাল, কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনা 'এদেশের আইন'। যা, 'গোড়া থেকে অনুসরণ' করা উচিত। এই ব্যাপারে বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কউল, বিচারপতি এএস ওকা, বিচারপতি বিক্রম নাথ অ্যাটর্নি জেনারেল ও সলিসিটার জেনারেলকে জানিয়েছেন যে, বিচারপতিদের নিয়োগের জন্য কলেজিয়াম ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সাংবিধানিক বেঞ্চ এই ব্যবস্থা চালু করেছে। সাংবিধানিক বেঞ্চের এই রায় সরকারকে মেনে চলতে হবে।
বেঞ্চ আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজিয়ামের সুপারিশগুলো অনুমোদন না-করায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অবমাননার আবেদনের শুনানি করছিল। শুনানির সময় বেঞ্চকে কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে 'সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের' করা কিছু মন্তব্য সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। প্রবীণ আইনজীবী বিকাশ সিং, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাম উহ্য রেখে উপরাষ্ট্রপতি এবং আইনমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলো উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন- গুজরাটের ফলের পর ‘জাতীয় দল’-এর মর্যাদা পেতে চলেছে আপ, কীভাবে?
শুনানির সময় বিচারপতি বিক্রম নাথ অ্যাটর্নি জেনারেলকে সরকারি পদাধিকারীদের সংযম দেখানোর পরামর্শ দেওয়ার পরামর্শ দেন। বিচারপতি নাথ বলেন, 'মিস্টার সিং বক্তব্যগুলো উল্লেখ করেছেন। কথাগুলো খুব একটা ভালো নয়। সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম সম্পর্কে মন্তব্য খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি। আপনাকে তাদের ক্ষান্ত হতে পরামর্শ দিতে হবে।'
বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের উদ্বোধনী দিনে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে ধনখড় তাঁর প্রথম বক্তৃতায় জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (এনজেএসি)-কে বাতিল করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ২০১৫ সালের রায়ের উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে 'জনগণে নির্দেশ' উপেক্ষার 'একটি উজ্জ্বল উদাহরণ' বলে দাবি করেন। সংসদীয় সার্বভৌমত্ব গোটা ব্যাপারে গুরুতর আপস করেছে বলেই অভিযোগ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি।
Read full story in English
কলেজিয়াম নিয়ে টানাপোড়েন বাড়ল, রিজিজু-ধনখড়দের মন্তব্য খোলা মনে নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট
মন্তব্যকারীদের সংযম দেখানোর পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্ব পেলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
Follow Us
কলেজিয়াম নিয়ে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে মন্তব্য খোলা মনে নেয়নি শীর্ষ আদালত। সরকারি পদাধিকারীদের কড়া সমালোচনা করে একথা স্পষ্ট করে দিলেন বিচারপতিরা। শীর্ষ আদালতের এই মন্তব্য এমন একটা সময়ে সামনে এল, যখন কলেজিয়াম নিয়ে বিচারব্যবস্থা ও কেন্দ্রের মধ্যে রীতিমতো টানাপোড়েন চলছে। বিশেষ করে আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মন্তব্যের পর সেই টানাপোড়েন তুঙ্গে উঠেছে।
তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানাল, কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনা 'এদেশের আইন'। যা, 'গোড়া থেকে অনুসরণ' করা উচিত। এই ব্যাপারে বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কউল, বিচারপতি এএস ওকা, বিচারপতি বিক্রম নাথ অ্যাটর্নি জেনারেল ও সলিসিটার জেনারেলকে জানিয়েছেন যে, বিচারপতিদের নিয়োগের জন্য কলেজিয়াম ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সাংবিধানিক বেঞ্চ এই ব্যবস্থা চালু করেছে। সাংবিধানিক বেঞ্চের এই রায় সরকারকে মেনে চলতে হবে।
বেঞ্চ আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজিয়ামের সুপারিশগুলো অনুমোদন না-করায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অবমাননার আবেদনের শুনানি করছিল। শুনানির সময় বেঞ্চকে কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে 'সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের' করা কিছু মন্তব্য সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। প্রবীণ আইনজীবী বিকাশ সিং, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাম উহ্য রেখে উপরাষ্ট্রপতি এবং আইনমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলো উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন- গুজরাটের ফলের পর ‘জাতীয় দল’-এর মর্যাদা পেতে চলেছে আপ, কীভাবে?
শুনানির সময় বিচারপতি বিক্রম নাথ অ্যাটর্নি জেনারেলকে সরকারি পদাধিকারীদের সংযম দেখানোর পরামর্শ দেওয়ার পরামর্শ দেন। বিচারপতি নাথ বলেন, 'মিস্টার সিং বক্তব্যগুলো উল্লেখ করেছেন। কথাগুলো খুব একটা ভালো নয়। সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম সম্পর্কে মন্তব্য খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি। আপনাকে তাদের ক্ষান্ত হতে পরামর্শ দিতে হবে।'
বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের উদ্বোধনী দিনে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে ধনখড় তাঁর প্রথম বক্তৃতায় জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (এনজেএসি)-কে বাতিল করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ২০১৫ সালের রায়ের উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে 'জনগণে নির্দেশ' উপেক্ষার 'একটি উজ্জ্বল উদাহরণ' বলে দাবি করেন। সংসদীয় সার্বভৌমত্ব গোটা ব্যাপারে গুরুতর আপস করেছে বলেই অভিযোগ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি।
Read full story in English