/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/Yogi-Adityanath.jpg)
বাড়ি যতই বেআইনি হোক, তা নিয়মমাফিকই ভাঙতে হবে। মানতে হবে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া। কিন্তু, সেই আইনি প্রক্রিয়া উত্তরপ্রদেশ সরকার মানেনি বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এনিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে জমিয়ত-উলামা-ই-হিন্দ সংগঠন। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের জবাবদিহি তলব করল শীর্ষ আদালত।
যোগী সরকারের দাবি ছিল যে সব বাড়ি ভাঙা হয়েছে, সেগুলো বেআইনি। এই সব বাড়ির মালিক নুপুর শর্মা-কাণ্ডে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। তারই সাজা দিতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করেই ক্ষান্ত হয়নি যোগী সরকারের প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের বাড়িও বিশাল পুলিশবাহিনীকে নিয়ে গিয়ে ভেঙে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে জমিয়ত-উলামা-ই-হিন্দ সংগঠন।
এই ক্ষতিগ্রস্ত বনাম রাষ্ট্র মামলায় জমিয়ত অভিযোগ করেছে, উত্তরপ্রদেশে বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে সরকার কোনও নিয়ম মানেনি। যার নামে নোটিস পাঠিয়েছে, সে বাড়ির মালিকই নয়। বাড়ির মালিক সেই ব্যক্তির স্ত্রী। শুধু তাই নয়, যাকে বাড়ি ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রেখেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- অগ্নিপথ নিয়ে বড় প্রশ্ন বিজেপির অন্দরেই, রাজনাথকে চিঠি পদ্ম সাংসদের
এতকিছু ভুল করার পরও যোগী প্রশাসন নোটিসের উত্তর দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি। পুলিশ আর লোকজন পাঠিয়ে গোটা বাড়িটা ভেঙে দিয়েছে। অথচ, যাঁর নামে এই বাড়ি, অর্থাৎ যিনি মালকিন তিনি নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ির কর পুরসভাকে দিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ে জলের করও পুরসভাকে দিয়েছেন। আর, সেই কর দেওয়ার ভিত্তিতে পুরসভা বাড়ির মালকিনকে সার্টিফিকেট দিয়েছে।
তারপরও যাঁকে সার্টিফিকেট দেওয়া হল, তাঁর বাড়ি জোর-জবরদস্তি করে কীভাবে ভেঙে দিতে পারে প্রশাসন। আদালতের কাছে সেই প্রশ্নই নিয়ে গিয়েছে জমিয়ত-উলামা-ই-হিন্দ সংগঠন। এই ছত্রে ছত্রে প্রশাসনিক বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের গুরুত্ব বুঝতে সুপ্রিম কোর্টের দেরি হয়নি। স্বভাবতই অভিযোগগুলো সম্পর্কে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের জবাবদিহি চেয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২১ জুন। ওই দিন বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি বিক্রম নাথ যোগী সরকারের বক্তব্য শুনবেন।
Read full story in English