দেশের চার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি, গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও আসামের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, 'চার রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারের এখনই পদক্ষেপের প্রয়োজন। দু'দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা কারার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
সোমবার শুনানিতে দিল্লি সরকারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'বর্তমানে দিল্লির করোনা পরিস্থিতি ঠিক কী? সরকার কী উদ্যোগ নিচ্ছে? পুরো বিষয়টিতে আদালত নজরে রাখছে।' উল্লেখ্য, দিল্লিতে করোনার হাল উদ্বেগজনক। রাজধানী শহরে আক্রান্ত প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার। শহরের প্রায় প্রতি বাড়িতেই করোনা রোগী বা সংক্রমিত হয়েছিলেন এমন মানুষের দেখা মিলবে।
দিল্লি, আসাম, গুজরাট, মহারাষ্ট্রে গত এক মাস ধরেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। মহারাষ্ট্রে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখের বেশি। আসামের পরিস্থিতিও খারাপের দিকে। কর্নাটক, অন্ধপ্রদেশে ভয়াবহ আকারে করোনা সংক্রমণ না বাড়লেও দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ঊর্ধবমুখী। একই অবস্থা পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমালচ প্রদেশেও। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণেই এই হাল বলে মনে করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমল, কিন্তু সপ্তাহের শুরুতেই চিন্তা বাড়াল প্রতিদিনের সংক্রমিত ও সুস্থতার ব্যবধান বৃদ্ধি। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪,০৫৯ জন। একদিনে করোনাজয়ীর সংখ্যা ৪১,০২৪ জন। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা অর্থাৎ অ্যাকটিভ কেস সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৪৩.৪৮৬ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে এখন দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড় দাঁড়িয়েছে ৯১,৩৯, ৮৬৬ জন। মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ৮৫, ৬২,৬৪২ জন। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫১১ জনের। বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১,৩৩,৭৩৮ জন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন