বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণের আইন করেছিল হরিয়ানা সরকার। যার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় রাজ্য সরকারের আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল পাঞ্জাব-গরিয়ানা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সেই স্থগিতাদেশ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, স্থগিতাদেশের নির্দেশ জারির সময় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে পর্যাপ্ত কারণ জানায়নি। বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ মামলায় চূড়ান্ত রায়ের জন্য হাইকোর্টকে এদিন আগামী ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আপিল করেছিল হরিয়ানা সরকার। তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ নির্দেশ বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট।
পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বি আর গাভাই-য়ের ডিভিশন বেঞ্চের হরিয়ানা সরকারের প্রতি নির্দেশ যে, হাইকোর্টের চূড়ান্ত নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও বেসরকারি সংস্থার বিরদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। আদালতে জানিয়েছে, 'আমরা বিষয়টির গুণাগুণ নিয়ে কাজ করতে চাই না কারণ আমরা হাইকোর্টকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করেছি। চার সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত রায় দেবে হাইকোর্ট। মামলার সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে স্থগিতাদেশ না চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং শুনানির জন্য আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।'
গত বছর নভেম্বরে হরিয়ানা সরকার রাজ্য 'নাগরিক কর্মসংস্থান আইন ২০২০' পাশ করায়। তার আওতায় বেসরকারি চাকরিতে রাজ্যের নাগরিকদের ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার বেতনের চাকরির ক্ষেত্রে এই সংরক্ষণের পদক্ষেপ করে রাজ্য। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে সেই আইন কার্যকর হয়। কিন্তু এই আইনের বিরুদ্ধে হরিয়ানা ও পাঞ্জাব হাইকোর্টে ফরিদাবাদ, গুরুগ্রামের বিভিন্ন শিল্প সংস্থার তরফে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তার প্রেক্ষিতেই ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট হরিয়ানা সরকারের জারি সংরক্ষণ আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল।
Read in English