নূপুর শর্মার পয়গম্বর মন্তব্য বিতর্কে উত্তাল হয়েছিল ভারত। দেশের একের পর এক থানায় দায়ের হয় এফআইআর। সেইসব মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নূপুর। সেই আবেদনের শুনানিতেই নূপুর শর্মাকে তিরস্কার করল দেশের শীর্ষ আদালত। ধর্মীয় আবেগে আঘাত করে দেশে অশান্তির জন্য তাঁকেই দায়ী করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গোটা দেশের কাছে তাঁকে ক্ষমা চাইতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত জানিয়েছে, 'দেশে যা ঘটছে তার জন্য এই মহিলা এককভাবে দায়ী। তিনি এবং তার দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য গোটা দেশে আগুন জ্বালিয়েছে।'
জ্ঞানভাপি মসজিদ ইস্যুতে একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে বিতর্কের সময় মহা নবী প্রসঙ্গে নূপুর শর্মা বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বাংলা সহ বিভিন্ন জায়গা তা হিংসারও রূপ নিয়েছিল। মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশও দিল্লির সমালোচনা করে। নূপুরকে বহিষ্কার করে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়।
শীর্ষ আদালতের মতে, মহা নবীর বিরুদ্ধে বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রীর মন্তব্য 'সস্তা প্রচার, রাজনৈতিক এজেন্ডা বা কিছু জঘন্য কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে' করা হয়েছিল।
শর্মার পক্ষে আদালতে সওয়ালকারী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনিন্দর সিং জানিয়েছিলেন যে, বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নিজের মন্তব্যের জন্য ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জানান, 'নূপুর শর্মার টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল।'
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'নূপুর শর্মার ক্ষমা চাওয়া এবং বিবৃতি প্রত্যাহারে খুব দেরি হয়েছিল। এবং তিনি শর্তসাপেক্ষে বিবৃতি প্রত্যাহার করে বলেছিলেন যে, যদি কোনও ব্যর্কতির অনুভূতিতে আঘাত লাগে তাহলে তিনি দুঃখিত।'