সাংসদ শশী থারুর, রাজদীপ সারদেশাই-সহ অন্যদের গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ। এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লা হিংসা নিয়ে 'ভুল' টুইট করে বিপথগামী করেছিলেন নেটিজেনদের। এই অভিযোগে থারুর, সারদেশাই-সহ একাধিক বিশিষ্টদের বিরুদ্ধে দেশের পাঁচ জায়গায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। পিটিআই সূত্রে এমনটাই খবর।
গত সপ্তাহে সেই গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন থারুর-সহ অন্যরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের বেঞ্চ কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠিয়েছে। তাদের অবস্থান জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, থারুর, সারদেশাই ছাড়া এফআইআর দায়ের হয়েছে সাংবাদিক মৃণাল পাণ্ডে, জাফর আগা, পরেশ নাথ, বিনোদ জোশ আর অনন্ত নাথের বিরুদ্ধে।
এদিনের শুনানিতে থারুরের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করেন, 'কেন্দ্র যতক্ষণ না পর্যন্ত জবাব দিচ্ছে, আমার মক্কেলদের গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।' এই আবেদনের পাল্টা প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছেন, 'কিছুই হবে না। এত ভয় কীসের?' এই বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি এএস বোপান্না আর ভি রামসুব্রহ্মণিয়ন।
বেঞ্চ বলেছে, 'দু'সপ্তাহ বাদে পরবর্তী শুনানি। ততদিন গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ থাকবে।' এই সংক্রান্ত তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে গুরগাঁও, বেঙ্গালুরু আর নয়ডাতে। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের একাধিক জেলায় এফআইআর দায়েরের পাশাপাশি দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তভার হাতে নিয়েছে।
সূত্রের খবর, শশী থারুর, রাজদীপ সারদেশাই-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা ধারায় হয়েছে। দেশদ্রোহিতা, সামাজিক শান্তি নষ্ট, অপরাধপ্রবণতা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রথম এফআইআর দায়ের করেন চিরঞ্জীব কুমার নামে দিল্লির এক আইনজীবী।