বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করল রাফাল মামলার পুনর্বিবেচনার রায়। বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, মামলার 'ভিত্তিতে অভাব' রয়েছে। এই মর্মে এফআইআরও খারিজ করল দেশের শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীকে সাবধান করল সুপ্রিম কোর্ট। রাফাল চুক্তি নিয়ে সনিয়া-পুত্রের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত জানায়, মন্তব্য করার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হতে হবে রাহুল গান্ধীকে।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের দাসোঁ এভিয়েশনের কাছ থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। সিবিআই তদন্তের দাবি করে মামলা দায়ের করা হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। ১৪ ডিসেম্বর সেই আর্জি খারিজ করে কেন্দ্রকে 'ক্লিন চিট' দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই রায় পুনর্বিবেচনার দাবি করে রিট পিটিশন দাখিল করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিং।
আরও পড়ুন- শবরীমালা: মহিলাদের প্রবেশাধিকারের ইস্যু সাত বিচারপতির বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট
গত ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার ব্যাপারে অনিয়ম হয়েছে বলে যে সমস্ত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলি সবই খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের চুক্তি প্রক্রিয়ায় আদালত সন্তুষ্ট। এই চুক্তিতে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ১০ মে রায় সংরক্ষিত করে রাখে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যর বেঞ্চ।
তবে রাফাল চুক্তির সব তথ্য সামনে আনেনি কেন্দ্র এই মর্মেই অভিযোগ আনে মামলাকারীরা। গত ১৪ ডিসেম্বরের রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান তাঁরা। সেই আবেদনে বুধবার সম্মতি জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সেই মতোই বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
Read the full story in English