ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন করেছে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সরকার। সেই আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইনের ব্যাখ্যা চেয়ে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে নোটিস ধরানো হয়েছে কেন্দ্রকেও। ৪ সপ্তাহ পর এই বিষয়টি নিয়ে ফের শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের এজলাসে।
বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সরকারের আনা ধর্মান্তরবিরোধী আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। মামলাকারীদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিটিজেন ফর জাস্টি অ্যান্ড পিস সহ রয়েছেন আইনজীবী বিশাল ঠাকরে, অভয় সিং যাদব, প্রাণবেশ। তাঁদের অভিযোগ, দেশের সংবিধানে যেখানে ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমানাধিকার এবং বৈষম্যহীনতার কথা বলা রয়েছে, সেখানে এই ধরনের আইন একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়। এই আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু এদিন তাঁদের সেই আর্জি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। বদলে দুই রাজ্য-সহ কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ছাড়াও পদ্ম বাহিনী পরিচালিত মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, হরিয়ানা ও অসমেও ধর্মান্তকরণ বিরোধী একই আইন আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আবেদনতাকারীরা।
ভিন ধর্মে বিয়ে ঠেকাতে বহু দিন ধরেই সরব দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তুলে ধরা হচ্ছে ‘লভ জিহাদ’-এর তত্ত্ব। মূলত হিন্দু ঘরের মেয়েদের মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে হওয়াতেই প্রবল আপত্তি প্রতিবাদীদের। ধর্মান্তরিত করার লক্ষ্যেই হিন্দু মেয়েদের প্রেম করে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেন মুসলিম যুবকরা, এমনটাই দাবি দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির। অবশ্য মুসলিম মেয়েদের হিন্দু ঘরে বিয়েকে এই আইনের অন্তর্ভুক্ত করতে নারাজ তারা।
ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন তৈরির পর গত বছর নভেম্বরে অর্ডিন্যান্স জারি করে সেটিকে আইনে পরিণত করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সর্বোচ্চ সাজা নির্ধারিত হয় ১০ বছরের জেলের। এমনকি বিয়ের দু’মাস আগে সরকারকে নোটিস না দিলে বিয়ে বাতিল বলে গণ্য হবে বলেও আইনে উল্লেখ রয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন