কালবুর্গী হত্যা মামলার দায়িত্ব বিশেষ তদন্ত দলের হাতে দিল বিশেষ তদন্ত দল বা সিট। যে সিট সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে তারাই কালবুর্গী হত্যা মামলার তদন্ত করবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। এই তদন্তের দেখভাল করবে কর্নাটক হাইকোর্টের ধারওয়াড় বেঞ্চ। সংবাদ সংস্থা এএনআই এ খবর জানিয়েছে।
কালবুর্গীর স্ত্রী উমা দেবীর তাঁর স্বামী হত্যা মামলার তদন্তভার সিটের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। গত ২৫ জানুয়ারি মামলার শুনানির সময়ে শীর্ষ আদালত বলেছিল, ”বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা বিষয়টি শুনব... আমরা এ মামলা মুলতুবি করে দিচ্ছি না।”
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ গৌরী লঙ্কেশ, নরেন্দ্র দাভোলকর, গোবিন্দ পানসারে এবং কালবুর্গীর হত্যার মধ্যে কোনও কোনও সাধারণ সূত্র রয়েছে কি না তা সিবিআই-কে খুঁজে দেখতে বলেছিল, যাতে একটি সংস্থা চারটি মামলারই তদন্ত চালাতে পারে।
আরও পড়ুন: “ধর্মের পরে দেশপ্রেম”: একটি জাতীয় বিশ্বাস
হাম্পি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এম এম কালবুর্গী ২০০৬ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান। ২০১৫ সালে কর্নাটকের ধারওয়াড়ে খুন হন তিনি।
শীর্ষ আাদালত কর্নাটক সরকারকে তিরস্কার করে বলেছিল যে তারা কিছুই করছে না এবং ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে হওয়া হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ করতে পারেনি। বেঞ্চ ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে দু সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল।
শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করার পর রাজ্য পুলিশের সিআইডি তাদের তদন্ত দল নতুন করে সাজায়। সে দলে গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের বিশেষ তদন্তদলের কয়েকজন সদস্যকেও রাখা হয়েছিল। গৌরী লঙ্কেশ মামলার অন্যতম তদন্তকারী ডিএসি টি রঙ্গাপ্পাকে কালবুর্গী মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হিসেবেও নিয়োগ করে সিআইডি।
উমা দেবীর অভিযোগ, তিনটি হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেই শুটাররা ছিল একই সংগঠনের। সিটের তদন্ত থেকে জানা গেছে যে কালবুর্গী এবং গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে একই বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে।
Read the Full Story in English