২০১২ সালে লেফটান্যান্ট জেনারেল দলবীর সিং সুহাগ এবং সঞ্জীব চাঁচরাকে পূর্ব এবং উত্তর কম্যান্ডের প্রধান হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ততে সায় দিল শীর্ষ আদালত। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে , সেনাবাহিনিতে কার অভিজ্ঞতা কত বেশি, শুধুমাত্র তার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পদের নির্বাচন হতে পারে না। আদালতে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় এবং হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ লেফটান্যান্ট রবি দাস্তানের আবেদন খারিজ করে দেয়।
এই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, “সেনা প্রধানের পরেই কম্যান্ডারের পদ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেনার পদে কে কত বেশি অভিজ্ঞ অথবা সিনিয়র, সেটি অবশ্যই গ্রাহ্য, কিন্তু দেশের প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পদে সেটিই একমাত্র শর্ত হতে পারে না। অন্যান্য অনেক বিষয় জড়িয়ে থাকে”।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, “কোন আধিকারিককে সেনাবাহিনীর কোথায় নিয়োগ করতে হবে, নিয়োগ কর্তৃপক্ষই সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সুহাগ এবং চাঁচরার নির্বাচন নিয়ে মুখ্য বেঞ্চের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন দাস্তানে। তিনি আদালতের নিয়োগ সম্পর্কে বলেছেন, “শুধুমাত্র সেনাবাহিনীতে কে কতদিন রয়েছেন তার ভিত্তিতেই নিয়োগ করা হয়েছে, অন্য কোনো শর্তই দেখা হয়নি”।
আর পড়ুন, দেশে ফিরতে কেন দেরি হল অভিনন্দনের?
আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, ” শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কোনও সেনা অফিসার পদোন্নতি দাবি করতে পারে না। একাধিক শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হলে তবেই কম্যান্ডারের পদের জন্য ভাবা হয়ে থাকে।
ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলবীর সিং সুহাগ সেনা প্রধানের পদ থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন। চাঁচরা এবং দাস্তানে অবসর গ্রহণ করেন যথাক্রমে ৩১ মে, ২০১৪ এবং ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ তে।