সারাবনা ভবন হোটেল গোষ্ঠীর মালিক পি রাজাগোপালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে রাজাগোপালকে। তাঁর সংস্থার এক কর্মীর স্ত্রীকে বিয়ের করার জন্য প্রিন্স শান্তাকুমারকে অপহরণ করে হত্যা করেন রাজাগোপাল। ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে রাজাগোপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত হয়।
হত্যার অপরাধ স্পষ্টই ইচ্ছাকৃত এবং পরিকল্পিত হওয়ায় ২০০৯ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট পি রাজাগোপালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন। ২০০৪ সালে এক বিশেষ আদালত রাজাগোপাল এবং তাঁর পাঁচ সহকারীকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। শুক্রবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের সাজাকেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন, বাংলা সহ ছয় রাজ্যে বাড়ছে না শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি
গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকের ঘটনা। সে সময় সারাবনা ভবন মালিকের দুই স্ত্রী বিদ্যমান। নিজের সংস্থার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজরের মেয়ে জীবজ্যতিকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে উঠলেন রাজাগোপাল। বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন জীবজ্যোতি। ১৯৯৯ সালে তিনি বিয়ে করলেন তাঁর প্রাক্তন শিক্ষক শান্তাকুমারকে। ঘটনাচক্রে এই শান্তাকুমার আবার রাজাগোপালের সংস্থার কর্মী। রাজাগোপাল ক্রমাগত নবদম্পতিকে বিয়ে ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিতে থাকে।
২০০১ সালের ১ অক্টোবর দম্পতি স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন রাজাগোপালের লোকজন তাঁদের অপহরণ করেছিল। ২৬ অক্টোবর শান্তাকুমারকে ফের অপহরণ করে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কোদাইকানাল। একই দিনে হত্যা করা হয় তাঁকে।
Read the full story in English