সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণ সাংবিধানিকভাবে বৈধ। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক। CJI বলেছেন যে রাষ্ট্রপতির ৩৭০ ধারা বাতিল করার অধিকার রয়েছে। ৩৭০ ধারা অপসারণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা পিটিশনের উপর রায় দেওয়ার সময়, CJI বলেছিলেন যে ৩৭০ ধারা একটি 'অস্থায়ী বিধান'।
CJI তার নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট পিটিশনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যাতে বলা ছিল রাষ্ট্রপতি শাসনের সময় কেন্দ্র কোনও 'অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ' নিতে পারে না। জাস্টিস চন্দ্রচূড় বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের একীকরণের জন্য ৩৭০ ধারা বাতিলের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। তাই ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে বেআইনি আখ্যা দেওয়া যায় না।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এই সকল আবেদনের ভিত্তিতে আজ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত সামনে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে জম্মু ও কাশ্মীরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন হওয়া উচিত। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলেও জানিয়েছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের সিদ্ধান্ত সাংবিধানিকভাবে বৈধ। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশনের উপর রায় দেওয়ার সময়, CJI DY চন্দ্রচূড় বলেন, '৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের মধ্যে কোনো বিদ্বেষ নেই'।
সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে ৩০ সেপ্টেম্বর২০২৪-এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে। সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, 'আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে পদক্ষেপ নেওয়া হোক যাতে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা হয়।' বিচারপতি কৌল একটি পৃথক রায় দিয়েছেন, যখন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না উভয় রায়ের সাথে একমত হয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ আজ ৩৭০ ধারা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তকে 'সাংবিধানিক' বলে বর্ণনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই সিদ্ধান্ত জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে করার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করেছে'।
'৩৭০ধারা অপসারণ সাংবিধানিকভাবে বৈধ'
সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, নতুন ব্যবস্থা জম্মু ও কাশ্মীরকে বাকি ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করেছে। ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত সাংবিধানিকভাবে বৈধ।
আদালতে কারা কার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন?
আদালতে, অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারমানি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে, রাকেশ দ্বিবেদী, ভি গিরি এবং অন্যান্যরা ৩৭০ ধারা বাতিল করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে ছিলেন। একই সময়ে, কপিল সিব্বল, গোপাল সুব্রামানিয়াম, রাজীব ধাওয়ান, জাফর শাহ, দুষ্যন্ত দাভ এবং অন্যান্য সিনিয়র আইনজীবীরা আবেদনকারীদের পক্ষে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিশনের রায় দেওয়ার সময়, বিচারপতি এস কে কৌল তার উপসংহারে বলেছেন, 'যা ঘটেছে, ঘটেছে, কিন্তু আমাদের ভবিষ্যত-এর দিকে তাকাতে হবে'।
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে বহাল রেখেছে এবং রায় দিয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীরে ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এ কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল এবং এটি অক্ষত থাকবে। এছাড়াও, সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে যে রাজ্যে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
ধারা ৩৭০ অপসারণের সুবিধা
নতুন ব্যবস্থা জম্মু ও কাশ্মীরকে বাকি ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল সাংবিধানিকভাবে বৈধ। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। এটা পরিবর্তন করা হবে না।
জম্মু ও কাশ্মীরে শীঘ্রই নির্বাচন হওয়া উচিত
CJI বলেছেন যে জম্মু ও কাশ্মীরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন সীমানা নির্ধারণের ভিত্তিতে নির্বাচন হওয়া উচিত। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু-কাশ্মীর
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক ভাবে বৈধ। এরই সঙ্গে এদিন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ভারতের নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভায় নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য। অর্থাৎ জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক পরিষদ ভেঙে যাওয়ার পরই রাষ্ট্রপতির হাতে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারির অনুমতি আছে।
সুপ্রিম কোর্ট এর আগে ১৬ দিনের বিতর্কের পরে ৫ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করেছিল। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে জম্মু ও কাশ্মীরকে আবার রাজ্যের মর্যাদা দিতে বলেছে। এতে দেরি না করতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।