দিল্লি কার? সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই বিতর্কে যবনিকা পতন হল। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় থেকে জানা গেল, দিল্লির প্রশাসনিক প্রধান হলেও উপরাজ্যপালের কোনও স্বতন্ত্র ক্ষমতা থাকবে না। দিল্লির ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, এই সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান উপরাজ্যপালই। তবে তাঁকে মন্ত্রিসভার কথা শুনেই চলতে হবে, এবং সরকারের নীতিগত কাজে কোনওরকম বাধা দিতে পারবেন না তিনি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের এই রায়ে স্বভাবতই খুশি অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। দিল্লির শাসনভার নিয়ে এদিনের রায়ে উপরাজ্যপাল অনিল বাইজাল ও মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সংঘাতের যে সমাপ্তি ঘটল, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দিল্লির প্রধান কে, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সে রাজ্যের সরকার ও কেন্দ্রের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। দিল্লির বস হিসেবে উপরাজ্যপালের নাম বলায়, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিরা। এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়েও উপরাজ্যপালকে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তবে একই সঙ্গে লাগাম টেনে দেওয়া হয়েছে তাঁর ক্ষমতায় । এদিনের রায়ে আরও বলা হয়েছে, সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না উপ-রাজ্যপাল। সেক্ষেত্রে উপ-রাজ্যপালকে মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। এতেই শেষ নয়, উপ-রাজ্যপালের সঙ্গে মন্ত্রিসভার কোনও সিদ্ধান্তে মতানৈক্য হলে, তবে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে হবে। রাষ্ট্রপতি সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিলেই তবে তা প্রাধান্য পাবে। অর্থাৎ, ভারতীয় সংবিধানের ২৩৯ এএ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, উপরাজ্যপাল প্রশাসনিক প্রধান হলেও, স্বাধীন ভাবে তিনি কোনও কাজে হাত দিতে পারবেন না। এমনকি, রাজ্য সরকারের সব কাজের ব্যাপারে নাক গলাতেও পারবেন না তিনি।
এদিনের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে বলেই টুইট করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শীর্ষ আদালতের রায়ের পরই আপের কার্যালয়ে মিষ্টিমুখও সারেন অনেকে।
আরও পড়ুন, দিল্লি ইস্যুতে মোদির দ্বারস্থ মমতাসহ চার মুখ্যমন্ত্রী
একনজরে দেখে নিন, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কারা কী টুইট করলেন-