বৃহস্পতিবার শবরীমালা ও রাফাল পুনর্বিবেচনা মামলার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৭ই নভেম্ভর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তার আগে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দেবেন তিনি। ফলে, চলতি সপ্তাহে নজরে থাকছে সুপ্রিম কোর্টের কার্যাবলী।
গত ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার ব্যাপারে অনিয়ম হয়েছে বলে যে সমস্ত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলি সবই খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের চুক্তি প্রক্রিয়ায় আদালত সন্তুষ্ট। এই চুক্তিতে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রধান বিচারপতির কার্য্যালয় তথ্যের আইনের আওতাধীন, রায় সুপ্রিম কোর্টর
এরপর রাফাল রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। গত ১৪ ডিসেম্বরের রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান তাঁরা। সেই আবেদনে এদিন সম্মতি জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সরকারের দেওয়া ‘অসত্য তথ্য’-এর উপর ভিত্তি করে সেদিন রায় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আবেদনকারীরা। বৃহস্পতিবার এই মালারই রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
অন্যদিকে, ২০১৮-এর সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট শবরীমালা মন্দিরে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় দেয় । বিচারপতিরা বলেছিলেন, ৫০ বছরের কম বয়সী মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাকে, ধর্মীয় আচার বলে মেনে নেওয়া যায় না। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রায় অস্পৃশ্যতার শামিল। এই মর্মে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পরে ওই মন্দির নিয়ে উত্তাল হয়েছে কেরল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে মন্দিরের দরজা একাধিকবার খুললেও ভক্তদের বাধায় একজনও ৫০-এর কমবয়সী মহিলা ঢুকতে পারেননি সেখানে। এই রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য ৪৯ টি আর্জি জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে । পরে পুনর্বিবেচনা আর্জি গ্রহণ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলারও রায় বের হবে আগামিকাল।