জাহাঙ্গিরপুরীতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেই উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যালিটির কর্মীরা বেশ কিছু বাড়ি এবং দোকানঘর ভেঙে দিয়েছেন। পুরকর্মীদের সঙ্গে ছিল দিল্লি পুলিশও। এতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ভঙ্গ করা হয়েছে বলেই অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে সতর্ক করে জানিয়ে দিল, আদালত বিষয়টি গুরুতর দৃষ্টিতে দেখছে। কারণ, আদালতের নির্দেশ অমান্য করা যায় না। আর, বুধবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট গোটা এলাকায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিল।
এই ঘটনায় দখলদার উচ্ছেদের বিরুদ্ধেও আরও একটি আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে। সেই মামলাতেও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গাভাই জানিয়েছেন, জাহাঙ্গিরপুরীতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে। বিচারপতিরা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আদালত যা বলবে, সেভাবেই মানতে হবে। তা ন্যূনতম পাঁচ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে মানতে হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতিরা।
আদালতে উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং দিল্লি পুলিশের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ১৬ এপ্রিলের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় যারা অংশ নিয়েছিল তাদের শাস্তি দেওয়া এবং দখলদার উচ্ছেদের যে নোটিস আগেই জমা দেওয়া হয়েছিল- তার ভিত্তিতে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা জানান, তাঁরা উত্তর দিল্লি পুরসভার মেয়রকে শীর্ষ আদালতের বুধবারের আদেশ সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। একটা বলেছিলেন যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে স্থিতাবস্থার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, সেই কথা জানানোর পরও দখলবিরোধী অভিযান অব্যাহত ছিল বলে ওই আইনজীবীরা আদালতকে জানান। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাগেশ্বর রাও বলেন, ' মেয়রকে নির্দেশের কথা জানানোর পরেও যে ভাঙচুর হয়েছিল, তা-ও আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।'
ক্ষতিগ্রস্তদের আইনজীবীরা আদালতে অভিযোগ করেন যে বিনা নোটিসে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু, সেকথা অস্বীকার করেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি জানান, উচ্ছেদের আগে জাহাঙ্গিরপুরীর ওই সব ব্যক্তিদের নোটিস দিয়েছিল উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। পাশাপাশি, জাহাঙ্গিরপুরীর লোকজন সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অংশ নিয়েছিল। তাই তাদের আত্মসমর্পণ করতেও বলেছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু, তারপরও অনেকেই পুলিশের সেই নির্দেশ মানেনি বলেই দাবি করেছেন সলিসিটার জেনারেল।
Read story in Engllish