Pegasus Snooping Row: পেগাসাস-কাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলা আগামি সপ্তাহে শুনতে দিনক্ষণ ধার্য করল শীর্ষ আদালত। সংসদের বাদল অধিবেশন আঁড়িপাতা কাণ্ডে দফায় দফায় বিঘ্নিত হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি দুই কক্ষের অধিবেশন। এই কাণ্ডে সংসদের বাইরে সরকার পক্ষকে চেপে ধরতে রণকৌশল বৈঠক করেছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেসের নেতৃত্বে হওয়া সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার সুপ্রিম কোর্ট জনস্বার্থ মামলার আবেদনে সাড়া দিলে আরও বিপাকে পড়বে মোদী সরকার। কোনও বিচারপতি বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারতির নেতৃত্বে সিট গঠন করে এই অভিযোগের তদন্ত হোক। এই আবেদন সুপ্রিম কোর্টে করেছেন দুই প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম এবং শশী কুমার। তাঁদের আইনজীবী কপিল সিবাল প্রধান বিচারপতিকে আবেদন করেছেন মামলা শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করতে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর সপ্তম দিনেও বিরোধী হল্লায় দফায়-দফায় মুলতুবি হয়েছে দুই কক্ষের অধিবেশন। পেগাসাস ইস্যুকে হাতিয়ার করেই বৃহস্পতিবার সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় সংসদের অচলাবস্থায় উষ্মা প্রকাশ করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। প্রয়োজনে সংসদের মর্যাদাহানির দায়ে অভিযুক্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কিন্তু তাতেও কমেনি বিরোধী ঝাঁঝ। এদিন বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি ছিল লোকসভার অধিবেশন।
এদিকে, সংসদ চলার প্রসঙ্গে সরকারপক্ষকে শর্ত দিয়েছে কংগ্রেস। এদিন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ মল্লিকার্জুন খারগে বলেছেন, ‘আমরা পেগাসাস-কাণ্ডে শুধু আলোচনা চাই। গুপ্তচরবৃত্তি দেশবিরোধী কাজ। যদি ওরা আমাদের আলোচনা করতে দেয় তাহলে সংসদ চলবে। আমরা আজ বিরোধীরা সর্বদল বৈঠকও ডেকেছি। কিন্তু আগে রাজ্য সভায় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর উপস্থিতি প্রয়োজন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন