Supreme Court: হরিদ্বার ঘৃণা মন্তব্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বুধবার শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। হরিদ্বার ধর্ম সংসদ-কাণ্ডে স্বাধীন তদন্ত চেয়ে দায়ের হয়েছে এই মামলা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না নেতৃত্বাধীন বেঞ্চেই হবে এই মামলার শুনানি।
ডিসেম্বর ১৭ এবং ২১, হরিদ্বার এবং দিল্লিতে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে ঘৃণা মন্তব্য ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। আইনজীবী অঞ্জনা প্রকাশ এবং দিল্লির এক বাসিন্দার আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘আমরা আবেদন শুনবো।‘ মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ছিলেন কপিল সিব্বল।
এদিকে, গত মাসে আয়োজিত ওই ধর্ম সংসদে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হিন্দুদের অস্ত্র তুলে নিতে হবে। উপস্থিত প্রতিনিধিদের প্রতি এই আবেদন করা হয়েছিল। চলতি মাসের ১৭-১৯ পুন্যভূমি হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই রুদ্ধদ্বার সংসদ। সম্প্রতি সংসদের ভিতরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উপস্থিত প্রতিনিধিদের এভাবে সংকল্প নিতে। জানা গিয়েছে, বিতর্কিত ধর্মগুরু যতি নরসিংহনন্দ এই সংসদের মূল আয়োজক। এর আগেও একাধিকবার উস্কানিমূলক মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ান তিনি।
কিন্তু হরিদ্বারের সংসদ সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ২০২৯-এ যাতে কোনওভাবেই দেশে মুসলিম প্রধানমন্ত্রী না হতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই অস্ত্র তুলে নেওয়ার আবেদন। এমনটাই সেই ভিডিওয় উল্লেখ। সেই সংসদে এক বক্তা বলেছেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে গুলিবিদ্ধ করে পিস্তল খালি করতে পারতেন তিনি।’ এই সংসদে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপধ্যায়।
অপরদিকে, হরিদ্বারের ‘ধর্ম সংসদ’ চলাকালীন ধর্মীয় এই সমাবেশে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা গ্রহণে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এফআইআর সত্ত্বেও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? সিনিয়ার আইনজীবী কপিল সিবাল এই প্রশ্ন তুলে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার কাছে একটি নোট জমা দেন। তারপরই এই প্রসঙ্গে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করল দেশের শীর্ষ আদালত।
আইনজীবী সিবাল বলেন, ‘১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারের ধর্মীয় সংসদে যা ঘটেছিল তার বিরুদ্ধেই আমি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছি।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন