সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। দেশের সামরিক প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণকে আরও পোক্ত করে তোলার জন্য মঙ্গলবার দেশের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
পিপলস লিবারেশন আর্মির উদ্দেশে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-র স্পষ্ট বার্তা, 'চরম সংকটের পরিস্থিতির কথা আগাম ভেবেই সেনার প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি বাড়াতে হবে। দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করত হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্বার্থকে সবার আগে রক্ষা করা প্রয়োজন।'
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হলেন শি। সেই সঙ্গে তিনি পদাধিকার বলে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিটির চেয়ারম্যানও।চিনের আইনসভা তথা ত্রয়োদশ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশন চলছে এখন। সেখানে একটি প্লেনারি সেশনে বক্তৃতা প্রসঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেছেন।
লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে গালওয়ান উপত্যকায় সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে চিন। চলছে যুদ্ধাস্ত্র সাজানোর কাজ। তার মধ্যেই সেনার উদ্দেশে চিনা প্রেসিডেন্টের এই বার্তা যথেষ্ট অর্থবহ বলেই মত ওযাকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন- লাদাখে ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনা, অনড় ভারত
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘিরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেক নজরে চিন। শি জিনপিং বলেন, 'কোভিড মহামারী আন্তর্জাতিক গোটা দুনিয়াকে প্রভাবিত করেছে। চিনের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব রয়েছে। মহামারী মোকাবিলার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের জন্যও সামরিক গবেষণাও বৃদ্ধি করতে হবে'।
কিন্তু, প্রশ্ন হল কেন 'চরম সংকটের পরিস্থিতি'র কথা উল্লেখ করলেন শি জিংপিং? আন্তর্জাতিক রাজনীতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতকে বার্তা দিতেই তাঁর এই মন্তব্য।
এদিকে চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে আরও বেশি সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করছে বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর। পাল্টা হিসাবে উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অরুণাচলপ্রদেশ, লাদাখেও বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করছে ভারতীয় সেনা। চলছে কড়া নজরদারি। ফলে উত্তেজনার আবহ আরও গভীর হয়েছে। জানা যাচ্ছে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যতক্ষণ চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে বেশি সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করবে, ভারতও পাল্লা দিয়ে সেনা-যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করবে। ভারতীয সেনা কোনও মতেই পিছ-পা হবে না।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন