Advertisment

আবার ত্রিপুরা: প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতায় হিটলার-মুসোলিনি, দ্বিতীয় পাতায় বিজেপি

বিজেপি মুখপাত্র ডঃ অশোক সিনহা বলেছেন, যদি পাঠক্রমে থাকার কারণে প্রশ্ন রাখা হয়, অসুবিধে নেই। কিন্তু যদি  এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে, তবে তা ঠিক নয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল চিত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ত্রিপুরার উনকোটি জেলার এক উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। নবম শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞানের ক্লাস টেস্টের প্রশ্নপত্র। ২৫ নম্বরের পরীক্ষায় তিন নম্বর বরাদ্দ ছিল শাসক দলকে  নিয়ে সংক্ষিপ্ত টিকা লেখার জন্য।

Advertisment

প্রশ্নপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের কিছু প্রশ্ন। মুসোলিনি, হিটলার অথবা তোজো -এর মধ্যে কোনো একজনকে নিয়ে লিখতে হবে। পাতার অন্য দিকে সংক্ষিপ্ত টীকা লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টীকার বিষয় ভারতীয় জনতা পার্টি। তিন নম্বর বরাদ্দ রয়েছে, এবং কোনো বিকল্প প্রশ্নই নেই। অর্থাৎ কিনা শাসক দলকে নিয়ে টীকা লেখা  বাধ্যতামূলক। সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে প্রশ্নপত্রের ছবি।

শ্রীরামপুর সূর্যমণি মেমোরিয়াল উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ ভট্টাচার্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্রে কোনো ভুল নেই।

আরও পড়ুন, ত্রিপুরায় মানিক সরকারের ওপর হামলা, সন্দেহের তির বিজেপি-র দিকে

"প্রশ্নপত্র দেখে আমি বোঝার চেষ্টা করছিলাম, ওই প্রশ্নটি রাখার কারণ কী? তারপর দেখলাম ওই শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞানের পাঠক্রমের আওতায় পড়ে এটা। 'রাজনৈতিক দল' পড়ানোর সময় আলাদা করে বিজেপি-র বিষয়ে পড়তেই হয়", জানিয়েছেন অভিজিৎবাবু। যদিও, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করেন, রাজনীতির গন্ধ থাকার কারণে এরকম প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়াই উচিত।

ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি প্রদীপ সেনগুপ্ত এই প্রসঙ্গে বলেছেন, প্রশ্নটি বোঝার জন্য তিনি পাঠক্রম খুঁটিয়ে দেখবেন। ত্রিপুরার সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর অবশ্য বলেছেন, "সব ক্ষেত্রে গৈরিকীকরণকে সমর্থন করা যায় না। সরকারের এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের এই বিষয়ে নজর রাখা উচিত"।

ত্রিপুরা কংগ্রেসের উপ সভাপতি তাপস দে ঘটনার সমালোচনা করে বলেছেন, ছাত্ররা এত রাজনৈতিক সংকীর্ণতার সম্মুখীন হচ্ছে, এটা তাদের শেখার প্রক্রিয়ায় ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। শিক্ষাকে রাজনীতির থেকে আলাদা রাখাই কাম্য"।

ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র ডঃ অশোক সিনহা বলেছেন, "যদি পাঠক্রমে থাকার কারণে প্রশ্ন রাখা হয়, অসুবিধে নেই। কিন্তু যদি  এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে, তবে তা ঠিক নয়। প্রধান শিক্ষকের সিদ্ধান্তই শেষ কথা হোক। রাজনৈতিক দলের এতে মাথা ঘামানোর দরকার নেই"।

এর আগে ত্রিপুরায় বাম জমানায় ভারতীয় ইতিহাসের একাংশ বাদ দিয়ে কার্ল মার্ক্সকে পাঠক্রমে নিয়ে আসায় বেশ সমালোচিত হতে হয়েছিল তৎকালীন সরকারকেও।

Advertisment