করোনা আতঙ্কে ফের তালা স্কুলে। গত ৪৮ ঘণ্টায় বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় নয়ডা এবং গাজিয়াবাদের বেশ কিছু স্কুলে আপাতত অফলাইন ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নয়ডা সেক্টর ৪০-এর একটি বেসরকারি স্কুলে ১০ জনেরও বেশি পড়ুয়ার শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার জেরে ওই স্কুলটি আপাতত দু'দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এই দু'দিন অনলাইনেই চলবে পঠন-পাঠন। অন্যদিকে, পড়ুয়ারা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গাজিয়াবাদের দু'টি স্কুলেও বন্ধ অফলাইন ক্লাস। ওই স্কুলগুলিও আপাতত অনলাইন ক্লাসেই ফিরছে।
গাজিয়াবাদের কোভিড ১৯ পরিস্থিতির নজরদারির দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিক ডাঃ রাকেশ গুপ্তা বলেন, ''সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিকাদান, পরীক্ষার জন্য ক্যাম্প চলছে। সংক্রমিত পড়ুয়ারা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন তা জানতে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।''
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় বৈশালীর একটি বেসরকারি স্কুলের তিন পড়ুয়াও করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তারই জেরে ওই স্কুলে ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গাজিয়াবাদের একটি বেসরকারি স্কুলে ১৩ বছরের এক পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেই স্কুলটিও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই পড়ুয়া করোনা টিকার কোনও ডোজি পায়নি।
এদিকে, গ্রেটার নয়ডা অভিভাবক সমিতির সভাপতি অলোক সিং বলেন, ''স্কুলগুলিতে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এটি উদ্বেগের বিষয়। কারণ এখন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক হবেন। গোটা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।''
আরও পড়ুন- রোপওয়ে দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৩, উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
চলতি সপ্তাহে একটানা বেশ কয়েকদিন স্কুলগুলিতে ছুটি রয়েছে। আগামী সোমবার ফের স্কুলগুলি পুরোদমে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের বাচ্চাদের শারীরিক পরিস্থিতির দিকে নিয়মিতভাবে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছে। কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে, সার্বিকভাবেই গোটা দেশে করোনার সংক্রমণ কমেছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে দেশের করোনা পরিস্থিতির আরও উন্নতি চোখে পড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৬ জন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।
Read story in English